- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-৩০
- ৭৬৯ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার একাদশ শ্রেণীতে কলেজ ও মাদ্রাসায় শতভাগ ভর্তি মেধার ভিত্তিতে করা হবে।
মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসাবে নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করা যাবে। এছাড়া মেধা তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরও কেউ ভর্তি নিশ্চিত না করলে আবার আবেদন করার সুযোগ থাকছে।
আগামী ৬ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর একাদশে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে শেষ হবে ২৪ মে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
গত বছর ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল মেধায় ৮৯ শতাংশ। বাকি ১১ শতাংশ ভর্তি করা হয় কোটায়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, গত বারের মতো এবারও অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনলাইনে সর্বনিন্ম পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদ্রাসায় আবেদন করা যাবে। এরজন্য নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনও শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। প্রতিবারের মতো এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বুয়েট।
একাদশে ভর্তি শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে অতিরিক্ত হিসেবে বিশেষ কোটায় মুক্তিযোদ্ধা-৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর-৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দফতরগুলো দুই শতাংশ, বিকেএসপি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং প্রবাসী শূণ্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ভর্তি করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার মধ্যে আশিংক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলা ভার্সনে নয় হাজার টাকা। ইংরেজি ভার্সনে ১০ হাজার টাকা ভর্তির জন্য নিধারণ করা হবে। সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি আবেদন করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ প্রদান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যন্যা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
নীতিমালা অনূযায়ী, একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১৩ মে। আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে। ২৭ থেকে ৩০ জুনের এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে। যদি কেউ ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠাদান অনুমতি বা এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, রাজধানীর সরকারি ও বেসরকরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..