×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১০-২৯
  • ৬৬৫৬৫৬৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠীসহ এখানকার সকল অধিবাসীর জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার অফিস কক্ষে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার এর নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি নাগরিক যেন সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে মিলেমিশে বসবাস করতে পারে সেজন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ প্রসঙ্গে এ সরকার গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রতিনিধিগণ সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বাংলাদেশ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সবসময় আমাদের পাশে ছিল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে এবং এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। 

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার পরিবেশ রক্ষা, ইকো ট্যুরিজম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলে কাজ করছে। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার উন্নয়নের ওপর অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে উপদেষ্টা বলেন, মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধি এবং পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। তিনি এসব ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। 

উপদেষ্টা বলেন, সুশাসন, পরিবেশ বান্ধব ট্যুরিজম, সমউন্নয়ন, পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, সুপেয় পানি সরবরাহ, মানবাধিকার রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনাকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ঢাকাস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুড প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেহের নিগার ভূইয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপসচিব জেসমিন আক্তার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat