যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ, অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের, স্বেচ্ছাচারী আচরণ এবং শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষিকা শিখা রাণীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়।
মানববন্ধনে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এলাকাবাসী এবং প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
তারা সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মিথ্যাচার করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেনের সম্মানহানি করেন।
বিগত আওয়ামী শাসনামলে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বিভিন্ন অভিযোগে তাকে চারবার শোকজ করা হয়। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী নিজের অপকর্ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা দিতে এ সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
বিগত দিনে শিখা রানির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের চার লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগকারীরা জানান।
স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুস সাত্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শিখা রানির বিরদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এতোদিন তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কাউকে প্রতিবাদ করতে দেননি।
প্রধান শিক্ষক ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, শিখা রানি রায় বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকে হয়রানি করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে কতিপয় কুচক্রীমহলকে ব্যবহার করেছেন। এটি নিয়ে কথা বললেই আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান তিনি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
অবশ্য অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা শিখা রানির দাবি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
তিনি সম্প্রতি নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের টকশোতে ভার্চুয়াল বক্তব্যে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তার বাবা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।