বাংলাদেশে ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাড়ে আজ বলেছেন, ভারত আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নবম আয়ুর্বেদ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পবন বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশে মধ্যে অভিন্ন ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য অনেক মিল বন্ধন রয়েছে। আয়ুর্বেদ আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং জ্ঞান বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
আয়ুর্বেদ দিবস ২০২৪-এর প্রতিপাদ্য হল- ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য আয়ুর্বেদ উদ্ভাবন’।
হাইকমিশনার বলেন, বহু শতাব্দী ধরে বাংলাদেশে আয়ুর্বেদের চর্চা অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশি জনগণের স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
ঐতিহ্যগত ওষুধ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়ুর্বেদ, ইউনানি, যোগ ও হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ ব্যবস্থা।
ধনতেরাস বা ধন্বন্তরী জয়ন্তী বা পূজার দিনে আয়ুর্বেদ দিবস পালন করা হয়। ভগবান ধন্বন্তরীকে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার প্রাচীন বিজ্ঞান আয়ুর্বেদের প্রবর্তক হিসাবে ধরা হয়।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ, অনুশীলনকারী, ছাত্র, ওষুধ খাতের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশী সুশীল সমাজের বিশিষ্ট সদস্যদের সম্মিলন ঘটেছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, আয়ুর্বেদিক রিসার্চ সেন্টার ফর মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডার ঢাকার হেড অব রিসার্চ মোখলেসুর রহমান
ও হামদর্দ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এবাদুল হক সৈকত সেতার বাদন পরিবেশন করেন।