- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৮
- ৭৪১ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- সারা বিশ্বেই চলে ক্ষমতার দাপট। নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো তাদের শক্তিমত্তা দেখায়। দাপট দেখাতে গিয়ে অনেক দেশের মধ্যে তৈরি হয় শত্রুমনোভাবাপন্ন সম্পর্ক। শত্রুতা মুছে ফেলে নিজেদের মাঝে সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হওয়ার নজির বিশ্বে খুব বেশি নেই। তবে চির শত্রুতাকে পেছনে ফেলে দুই দেশের নেতারা করমর্দন করেছেন এমন কিছু ঐতিহাসিক ঘটনাও ঘটেছে। এমন কিছু ছবি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে।
দুই কোরিয়ার মিলন
দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাৎ অতি সাধারণ ঘটনা৷ কিন্তু শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন যখন সীমান্তে মিলিত হয়ে সহাস্যে করমর্দন করলেন, তা ঐতিহাসিক এবং অনেকটা অবিশ্বাস্য। কারণ, প্রায় ৬৫ বছর আগে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ শেষ হবার পর থেকে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় পা রাখেননি৷
এই করমর্দনের মধ্য দিয়েই চির বৈরি দুই দেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং শত্রুমনোভাব দূরে রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফিলিস্তিনের শান্তি
নরওয়ের অসলোতে কয়েকমাস গোপন আলোচনার পর ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গ্যানাইজেশন (পিএলও)-র প্রধান ইয়াসির আরাফাত নিজেদের মধ্যে শান্তি স্থাপনে একমত হন৷ ১৯৯৩ সালে সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে হোয়াইট হাউজের দক্ষিণ লনে করমর্দন করেন এ দুই নেতা।
ফিলিস্তিনের বিষয়ে যদিও এ করমর্দন তেমন কোনও ফল বয়ে আনেনি। তবুও চির বৈরি এ দুদেশের নেতার সাক্ষাৎ একটি বিরল ঘটনা।
কিউবা-অ্যামেরিকার করমর্দন
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরস্পরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দেশ কিউবা আর অ্যামেরিকা৷ ২০১৩ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণ অনুষ্ঠানে অ্যামেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো হাত মেলান৷ পরে ২০১৬ সালে ওবামা ৮৮ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবা সফর করেন৷
আয়ারল্যান্ডে রক্তক্ষয়ের অবসান
ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের সাবেক সশস্ত্র বিদ্রোহী দল আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির প্রধান কমান্ডার ম্যাকগিনিসের করমর্দনও একটি ঐতিহাসিক ঘটনা৷ ২০১২ সালে রানি যখন উত্তর আয়ারল্যান্ড সফরে যান, তখন ম্যাকগিনিস তার সঙ্গে করমর্দন করেন৷
এ করমর্দনের মধ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ডে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান হয়। যা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
চীন-তাইওয়ান মিলন
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পর দীর্ঘদিন চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ছিলো দা-কুমড়া সম্পর্ক৷ ২০১৫ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাইওয়ানের মা ইং জেও সিঙ্গারের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন৷ সেখানে তারা কয়েক মিনিট ধরে কথা বলেন এবং করমর্দন করেন৷
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..