ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলের সামনে গতকাল মঙ্গলবার কমলা হ্যারিসের সমাবেশে তার সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠে। চার বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের পর তার সমর্থকরা ক্যাপিটলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চালিয়েছিল। এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মুহূর্তগুলোর কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার হ্যারিসের নির্বাচনী সমাবেশে তার সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠে। সমর্থকরা ‘স্বাধীনতা’ চিহ্ন দেখিয়ে আনন্দের ঢেউ তুলে।
ক্যাপিটলে ভোটারদের কাছে হ্যারিসের সমাপনী বক্তব্যে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন। একই জায়গায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়কে ফাল্টানোর চেষ্টা করতে গিয়ে প্রতিদ্বন্ধি ট্রাম্পের সমর্থকরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা হাঙ্গামা চালিয়েছিল।
ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস অক্টোবরের হীমশীতল সন্ধ্যায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ৭৫ হাজার লোক ভিড় করেছিল। বক্তৃতা দেওয়ার পর হ্যারিসের ভোটার জুয়ানিটা রাসেল হাত তালি দিয়ে নাচলেন। সমর্থকদের আশা, অতীত চলে গেছে।
‘সমাবেশ এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হ্যারিস একটি গভীর প্রতিকি সাইট সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমাদের এই স্থানটি ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল।’ কারণ ট্রাম্প সম্ভাব্যভাবে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার নির্বাচন থেকে অনেক দুরে রয়েছেন।
‘সবচেয়ে মারাত্মক ভয়’ হচ্ছে ২০২০ সালের মতো নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে আবারো অস্বীকার করতে পারেন বলে আশঙ্কার কারণে উত্তেজনা বাড়ছে।
অবশ্যই তিনি সহজভাবে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউসে আসতে পারেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী (৪২) স্যাম কিচেন বলেছেন, ‘আমার সবচেয়ে মারাত্মক ভয় হচ্ছে ট্রাম্প জিতবেন।’
তিনি উল্লেখ করেছেন নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে ‘অবিশ্বাস্যভাবে নার্ভাস’বোধ করেন। কারণ বিভিন্ন জরিপগুলোতে ট্রাম্পের জয় সম্পর্কে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ‘আশা করি সেই জরিপের ফলাফলকে অতিক্রম করে আমরা জয় ছিনিয়ে আনতে পারবো।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘সর্বোত্তম ফলাফল হলো হ্যারিস জিতেবে এবং কোনো ধরনের সহিংসতার শঙ্কা নেই।’