গণআজাদী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দেশে উদার গণতন্ত্র বহাল রাখা সম্ভব নয়।
আজ বিকেলে গণআজাদী লীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলে গুণগত সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক দলের ভেতরেই যদি গণতন্ত্রের চর্চা না থাকে দেশে উদার গণতন্ত্র বহাল রাখা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলে যতদিন মনোনয়ন বাণিজ্য,কমিটি বাণিজ্য বজায় থাকবে ততদিনে এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও অবাধসুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
গণআজাদী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণআজাদী লীগের কার্যকরী সভাপতি মো. রাশেদুল আলম তর্কবাগীশ ও যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হাই সবুজ প্রমুখ অংশ নেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা না থাকলে রাজতন্ত্র বা জমিদারী প্রথার সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও ভোটার তালিকা সংশোধন করেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন,রাজনৈতিক দলের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটার তালিকা এবং সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত ও সংস্কার করতে হলে সবার আগে রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংস্কার করতে হবে। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। মেধা, যোগ্যতা ও দেশপ্রেম হবে রাজনীতিবিদদের মাপকাঠি। রাজনীতিতে কালো টাকার মালিক, গড়ফাদার, সন্ত্রাসী ও পেশাদার ব্যবসায়ীদের আধিক্য বন্ধ করতে হবে।