রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি- জামায়াতের মহাসমাবেশে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ রোববার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, পল্টনের সমাবেশে দুবৃর্ত্তদের অতর্কিত হামলা, ভাংচুর এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, নাশকতা, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরন, বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিক আহতসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে তারা জড়িত থাকায় তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধে প্রথম দিন আজ রোববার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীতে ১৫০টি টহল টিমসহ সারা দেশব্যাপী র্যাব ফোর্সেসের ৪৫০ টহল টিম মাঠে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব কাজ করছে জানিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি'কে কেন্দ্র করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী র্যাব কাজ করছে এলিট ফোর্স র্যাব।
অবরোধে সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে
তিনি জানান, দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহলের সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে দেড় শতাধিক টহলসহ সারাদেশে র্যাবের সাড়ে ৪ শতাধিক টহল দল মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি সড়ক ও মহাসড়কে র্যাবের নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মিথ্যা তথ্য/গুজব ছড়ানোকারী ব্যক্তি/ জড়িতদের শনাক্ত করতে সাইবার নজরদারি জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে দেশে একটি স্বার্থান্বেসী কুচক্রী মহল মিথ্যা তথ্য/গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সার্বক্ষনিক সাইবার নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহনও ব্যক্তিগত পরিবহনে ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরণের সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় জড়িতদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যা বিশ্লেষণ ও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র্যাব।