রাজারবাগ দরবার শরীফের পীরের বিষয়ে মামলার তদন্তের স্বার্থে সিআইডি, কাউন্টার টেররিজম ও দুদক চাইলে পীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমানসহ তার সঙ্গীদের নামে করা মামলা সংক্রান্ত নথি পাওয়া যাচ্ছে না শোনার পর আজ দ্রুত তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেয় আদালত। হাইকোর্ট বিভাগের রিট দাখিল সেকশনের সুপারিনটেনডেন্টকে আজ রোববার দুপুর ২টার মধ্যে এসব নথি আদালতে জমা দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এই নির্দেশ অনুযায়ী আদালতে সে নথি উপস্থাপন করেন সুপারিনটেনডেন্ট।
শুনানি শেষে আদালত আজ এ আদেশ দেয়। আদেশের মধ্যে রয়েছে সিআইডি, দুদক, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মনে করলে রাজারবাগের পীর ও তার সহযোগী সঙ্গীদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে।
রাজারবাগ পীরের কর্মকান্ডের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজারবাগ পীরের বিষয়ে সিআইডির প্রতিবদনের আলোকে কোনো ভুক্তভোগী চাইলে মামলা করতে পারবে বলেও আদেশে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বিভাগ।
আদালতে দু’টি আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও এমাদুল হক বশির।
পীর দিল্লুর রহমানসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় গত ২ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়। এতে দিল্লুরসহ শাকিরুল কবির, ফারুকুর রহমান ও মফিজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
ব্যবসায়ী একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে আইনজীবী এমাদুল হক বশির আবেদনটি করেন। এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪৯টি মামলা হওয়ার বিরুদ্ধে কাঞ্চন হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত সিআইডিকে একরামুলের বিরুদ্ধে হওয়া ৪৯ মামলার তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে রুলসহ আদেশ দেয়। সিআইডির প্রতিবেদনে কাঞ্চনের বিরুদ্ধে পীর দিল্লুর সিন্ডিকেটের করা হয়রানিমূলক মামলার তথ্য উঠে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরিফের সব সম্পদের তথ্য খুঁজতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট বিভাগ। পীরের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতেও সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত।