- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৭
- ৭৮৭ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- রোহিঙ্গাদেরকে নিরাপত্তা এবং তাদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস। তিনি শেখ হাসিনাকে এ জন্য ধন্যবাদও জানান।
আর জাতিসংঘ প্রধানের কাছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা করেন, এ বিষয়ে তারা মিয়ানমারকে চাপ দেবে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, রাত নয়টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ফোন আসে। জাতিসংঘ মহাসচিব এবং শেখ হাসিনার মধ্যে ১২ মিনিটের মতো কথা হয়।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদেরকে তার নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। ১৯৮০ দশকের শুরু থেকেই নানা সময় রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। তবে গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা স্রোত আসে কক্সবাজারের দিকে।
বাংলাদেশ প্রথমে অনুপ্রবেশে বাধা দিলেও পরে রাখাইন রাজ্যের করুণ পরিস্থিতি জেনে সীমান্ত খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এখন পর্যন্ত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার নাম তালিকাভুক্ত করেছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আচরণ করায় শেখ হাসিনার ভুয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘ প্রধান। সেই সঙ্গে এই সংকটের স্থায়ী সমাধানে দেশটির ওপর চাপ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন দুইজন।
রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার পর তাদের দুর্দশা এবং রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি জাতিসংঘে তুলে ধরে বিশ্ববাসীর সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর জাতিসংঘে বাংলাদেশের তোলা দুটি প্রস্তাব পাস হয়েছে বিপুল ভোটে।
আবার রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, আর ১৬ জানুয়ারি হয় ফিজিক্যাল অ্যারাঞ্জমেন্ট চুক্তি।
এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে দেড় হাজার রোহিঙ্গার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তাহীনতার কারণে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে রাজি হচ্ছে না। আর সম্প্রতি নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়নে মিয়ানমার টালবাহানা করছে।
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ চুক্তি বাস্তবায়নে জাতিসংঘ সহযোগিতা করবে-এটি তার প্রত্যাশা।
সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান শেখ হাসিনা।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..