তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) অপারেটররা আজ এলপিজি মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে তাদের মতামত বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিইআরসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলওএবি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, আমরা এই দাবি জানাচ্ছি যে, বিইআরসি এলপিজির দাম নির্ধারণ করার সময় আমাদের মতামত বিবেচনা করবে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে এলপিজি শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করছে।
ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এলপিজি অপারেটররা বিইআরসি নির্ধারিত এলপিজি মূল্যের কারণে সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
চৌধুরী বলেন, সরকার যদি চায় এই খাত অব্যাহত থাকুক, তাহলে বিইআরসির উচিত বাস্তব সম্মত মূল্য নির্ধারণ করা। সরকার দেশে এলপিজি খাতের উন্নতির জন্য বেসরকারী খাতকে সহায়তা করে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, জিডিপিতে আমরা ১০ শতাংশ অবদান রাখতে চাই। আমাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বিইআরসি একতরফা মূল্য নির্ধারণ করার কারণে এলপিজি শিল্প ধ্বংস হতে যাচ্ছে।
চলতি বছরের ১২ এপ্রিল, বিইআরসি প্রথমবারের মতো সরকারী এবং বেসরকারী উভয় অপারেটর দ্বারা সরবরাহ করা এলপিজির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে।
এলওএবি সভাপতি বলেন, সৌদি আরামকোর চুক্তি মূল্যের (সিপি) উপর ভিত্তি করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা সঠিক। তবে অন্যান্য কিছু বিষয় অযৌক্তিক।
ওমেরা এলপিজি, ওরিয়ন এলপিজি, বসুন্ধরা এলপিজি, যমুনা এলপিজি এবং জেএমআই এলপিজি-র প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি গ্যাস উৎপাদকদের সরবরাহ করা ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য ৬৪ টাকা কমিয়ে ৯০৬ টাকা থেকে ৮৪২ টাকা করা হয়েছে যা জুন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উৎপাদকের ১২.৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য বেসরকারী খাতের চেয়ে কম অর্থাৎ ৫৯১ টাকা থাকবে।