স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে প্রাধিকার দিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সুপারিশ করেছে অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসি আয়োজিত এক বাজেট আলোচনায় তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্ষ ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন সাদেকা হালিম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া ও বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ ও ড. কাজী মারুফুল ইসলাম দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ড. মো. আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২৫০০ টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের সাথে সমাজের বিত্তবানদের শামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৩৫ লাখ মানুষকে সহায়তা করা হচ্ছে। এখন সমাজের বিত্তবানদের প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ অনুসরণ করে তাদেরকেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনাকালীন সময়ে কোনভাবে যেন শিক্ষাখাত উপেক্ষিত না থাকে। তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে অনেক পিছিয়ে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তিনি আগামী অর্থবছরে শিক্ষাখাতের জন্য স্বতন্ত্র বাজেট প্রনয়ণের সুপারিশ করেন।
অনুষ্ঠানে ড. সেলিম রায়হান বাজেট বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।