স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সমতার উদাহরণ সৃষ্টি করা উচিত। তাহলেই বিশ্ব থেকে একযোগে করোনাভাইরাস বিদায় নেবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব করোনার অতিমারিতে আক্রান্ত ও দিশেহারা অবস্থায় নানারকম উদ্যোগ গ্রহন করছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলিও এই মহামারিতে বিপর্যন্ত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সাথে দরিদ্র দেশগুলিও এই মহামাারির কারণে আরো দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলির দিকেও সমানভাবে উদ্যোগী হতে হবে। কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অনেকেই ভ্যাক্সিন তৈরি করেছে।কিন্তু সেই ভ্যাক্সিন কেবল উন্নত দেশগুলিতেই প্রয়োগ করলে ভাইরাস বিশ্ব থেকে চলে যাবে না। এই ভাইরাস গোটা বিশ্ব থেকে এক সাথে, এক হয়ে বিদায় করতে হবে। এ কারণে, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাক্সিন প্রদানে ধনী দেশ, গরীব দেশের মধ্যে সমতার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনলাইন জুম মিটিং এর মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জুম মিটিং এ উপস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মি. বার্ধণ সিং রানার উদ্যেশ্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার উপর জোর দেন এবং উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তিনি দিক নির্দেশনা দেন। দেশব্যাপী করোনার অতিমারিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতে আরো কি কি কাজ করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উপকার হতে পারে সে বিষয়টি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর।
করোনায় করণীয় বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সুচনা বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা বেগম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিডিসি-এর লাইন ডিরেক্টর নাজমুল ইসলাম। অন্যানের মধ্যে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক, ডিজি নার্স, সিডিসি-এর লাইন ডিরেক্টর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মি. বার্ধন সিং রানা।