শারিরীক উপস্থিতির মাধ্যমে কাল ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে ৯ টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( প্রশাসন ও বিচার) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়েছে। এ বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শারিরীক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনও প্রণয়ন করে সরকার। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে এবং নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। পরে নিম্ন আদালতে শারিরীক উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিচার শুরু হয়।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে শারিরীক উপস্থিতির পাশাপাশি ভার্চুয়ালীও বিভিন্ন বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। সে অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন।
তবে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি বেঞ্চে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
শারিরীক উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারিক
কার্যক্রম পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আজ ৯ টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চ গুলো হচ্ছে – বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে এবং বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চে দেওয়ানী সংক্রান্ত মামলায় বিচার কার্যক্রম পরিচালনার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে আদিম অধিক্ষেত্রাধীন বিষয় সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। কাল রোববার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে এসব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালের পূর্বে দায়েরকৃত, স্থানান্তরিত বা চলমান সকল প্রকার মোকদ্দমা বা কার্যধারা এসব বেঞ্চেই শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে।