করোনা মহামারি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বে কাজ এগিয়েছে অনেকদূর। এ প্রেক্ষাপটে ডব্লিউএইচও’র একজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছেন, জন অবিশ্বাস মহামারি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা ভ্যাকসিনকে অকেজো করার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাদান বিভাগের পরিচালক ক্যাট ওব্রিয়েন এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর কিংবা শেলফে থাকা টিকাগুলো মহামারি প্রতিরোধে কোন কাজেই আসবে না।
মার্কিন ঔষধ কোম্পানী ফাইজার এবং তার জার্মান অংশীদার বায়োটেক সোমবার তাদের সম্ভাব্য টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ওব্রিয়েন এ ঘোষণাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেন এবং বলেন, আরো কয়েকটি টিকার ফলাফলও খুব শিগগিরই জানা যাবে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষে এক বা একাধিক টিকা করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট কার্যকর হলে এটি হবে খুবই ভালো খবর।
কিন্তু তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে ক্রমবর্ধমান দ্বিধা এবং ভুল তথ্য ও অবিশ্বাসের কারণে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নিয়ে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে।
ওব্রিয়েন আরো বলেন, জনগণ ভ্যাকসিন গ্রহণে অনিচ্ছুক হলে মহামারি প্রতিরোধে বিশ্ব সফল হবে না।
এ জন্য জনগণের আস্থা বাড়াতে আরো কিছু করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি নিরাপদ ও কার্যকর টিকা তৈরি এভারেস্টে বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করার মতো।
কিন্তু মূলত টিকার কার্যকারিতা এভারেস্টের চুড়ায় ওঠার মতো।