ভোলা, জেলায় চলতি রবি মৌসুমে ২০ হাজার ৬’শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৩’শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য বোরো ধান, গম, ভূট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনামাদাম, শীতকালীন মুগ, গ্রীস্মকালীন মুগ ও পেঁয়াজ চাষে বীজ ও সার দেয়া হবে। প্রত্যেক কৃষককে একটি করে ফসলের অনুকূলে সরকারিভাবে বীজ ও সার প্রদান করা হবে। আর এর জন্য মোট বরাদ্দ এসেছে ২ কোটি ২০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এছড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩’শ কৃষককে লোকসান পুূষিয়ে নেয়ায় জন্য বীজ ও সার দেয়া হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষকদের মাঝে এসব বিতরণ শুরু হবে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯ হাজার ৩’শ কৃষকের মধ্যে একজন কৃষক বোরো ধানের জন্য ১ কেজি উন্নত মানের বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার পাবে। গমের জন্য ২০ কেজি বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার পাবে। ২ কেজি করে বীজ ভ’ট্রার জন্য। আর ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। সরিষার জন্য ১ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি। সূর্যমুখীর ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার।
একইভাবে চিনামাদামের জন্য ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার। শীতকালীন মুগ ডালের জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি। গ্রীস্মকালীন মুগের জন্যও একই বরাদ্দ। এছাড়া পেঁয়াজ চাষের জন্য ২৫০ গ্রাম বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার কৃষদের দেয়া হবে।
উপ-সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, জেলার মোট ১৯ হাজার ৩’শ কৃষকের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩’শ ৭০, দৌলতখানে ২২’শ ৭০, বোরহানউদ্দিনে ২২’শ ৫০, তজুমোদ্দিনে ১৫’শ ৭০, লালমোহনে ২৩’শ ২০, চরফ্যাশনে ৬৯’শ ৮০ ও মনপুরায় ১৫’শ ৪০ জন কৃষক রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক হরলাল মধু জানান, প্রাকৃতিক দুর্যর্োগের কারণে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পুূষিয়ে নেয়া ও চলতি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৩’শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। এসব ফসলের মধ্যে গম, টমোটো, সূর্যমুখী, মরিচ, সরিষা রয়েছে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। যার বিতরণ কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে।