স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘ঢাকা মহানগরীর অন্যতম সমস্যা গারবেজ ও জলাবদ্ধতার মূল কারণ পলিথিন। ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির জন্যও পলিথিন দায়ী।’ তিনি নিজে পলিথিন ব্যবহার না করার ঘোষণা দিয়ে নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদেরকেও পলিথিন ব্যবহার না করার আহ্বান জানাচ্ছি’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তর জনসচেতনতামূলক এ সভা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিক আহাম্মদ, পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ সাদেকুল ইসলাম; মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন কার্যক্রম ও এর ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
পলিথিনিরে ক্ষুদ্র কণার অস্তিত্ব মাছের মধ্যেও পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমুদ্র-উপকূলীয় এলাকায় পলিথিন ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।
সভাপতির বক্তৃতায় পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, সরকার নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে সংশ্লি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে সারাদেশে ৮টি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। তিনি বলেন,পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এ বছর ১শ’ ২৮ টন নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন জব্দ করার মধ্যদিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে জোরালো ভূমিকা রেখে চলছে। পলিথিন খাল, বিল, নদী নালা ও সমুদ্্র দূষণ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,ক্রেতা-বিক্রেতা, সকলের সহযোগিতায় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সংবিধানে যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে,তা আমাদের মানতে হবে। জেল-জরিমানা দিয়ে মানুষকে উদ্বুব্ধ করা যায় না, মানুষকে সচেতন করেই পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’
এ সভায় জানানো হয়,নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ নির্মূলে জনসচেতনা বাড়ানোর পাশাপাশি মনিটরিং ও এনফোর্সন্টে কার্যক্রম আরো জোরদার এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।