নিউজ ডেস্ক:- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশের ৬৪টি জেলার হাসপাতালগুলোতে ১৫০ ভাগ বেড ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জমাদি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে ৪২টি পাবলিক সেক্টর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১৮টি উচ্চতর বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সকল স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে প্রদান করছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৭২তম সম্মেলনের নির্ধারিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় ডাব্লুএইচও-এর নির্বাহী বোর্ডের ১৪৩ ও ১৪৪তম সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন, সংস্থাটির মহাপরিচালকের বক্তব্যের উপর আলোচনা, নতুন সদস্য নির্বাচন, প্রোগ্রাম, বাজেট এবং নির্বাহী বোর্ডের আঞ্চলিক কমিটি সমূহের প্রতিবেদন উপস্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে গ্রোবাল এ্যাকশান প্ল্যান প্রণয়ন, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধির নিরাময় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে জাহিদ মালেক বলেন, সরকারের বাৎসরিক বাজেটে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাখাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দকৃত খাতগুলোর পর্যায়ের বাজেট প্রদান করা হয়। এই বাজেট থেকে দেশের ক্যান্সার, কিডনী, সিরোসিস-সহ যাবতীয় জটিল রোগ নির্মূলে ব্যয় করা হয়। পাশাপাশি দেশে ৬৪টি জেলার সকল হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও মায়ানমার থেকে আগত নির্যাতিত প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার স্বাস্থ্য সেবাও বর্তমান সরকার প্রদান করছে। মায়ানমার থেকে আগত এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় বাজেটের মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার অন্যতম সদস্য দেশ হিসেবে প্রতিবছর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশ নিয়ে আসছে। এর অংশ হিসাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ১৯ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান এবং কমনওয়েলথভূক্ত দেশ সমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের ৭২তম সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশ নেন।
সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (জনস্বাস্থ্য ও বিশ^স্বাস্থ্য) অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ অংশ নেন।