×
ব্রেকিং নিউজ :
সবুজ রূপান্তর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সুইডেনের সিটি কর্পোরেশন-জেলা উপজেলা ও পৌরসভায় বসানো হচ্ছে ‘ফুল টাইম’ প্রশাসক : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা দেশের ৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে সরকার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ পুনঃনির্ধারণের প্রচেষ্টা চলছে : মহাসচিব ন্যাশনাল মেরিটাইম পোর্ট স্ট্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার : নৌপরিবহন উপদেষ্টা পুলিশের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন গ্রেফতার, হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ ট্রাম্প সমর্থকদের ‘আবর্জনা’ বলায় সমালোচনার মুখোমুখি বাইডেন সুপার টাইফুন কং-রে-র সাথে লড়ছে তাইওয়ান
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-০৯
  • ৭৫০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-  মিত্র দেশগুলোর অনুরোধ উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু সমঝোতা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির। একইসঙ্গে ইরানের ওপর পারমাণবিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে ছয় মাসের সময় দেন ট্রাম্প। সেটি না করলে কঠোর ‘পরিণতি ভোগ’ করতে হবে বলে সতর্ক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কোন দেশ যদি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ট্রাম্প উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি করা হয়েছে সেটি বজায় থাকলে দেশটি পারমাণবিক শক্তি অর্জন করবে। এ ধরনের চুক্তি কখনোই করা উচিত হয়নি।’ ইরান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস এবং আল-কায়েদাকে ইরান সমর্থন দিচ্ছে। আমরা যদি এখন কিছু না করি, তাহলে আমরা জানি ভবিষ্যতে কী হবে।’ এছাড়া একজন আমেরিকান হিসেবে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তির জন্য তিনি বিব্রত বলেও মন্তব্য করেন। ২০১৫ সালে বারাক ওবামার সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি করেছিল ইরানের সঙ্গে। সে চুক্তির মূল বিষয় ছিল, ইরান পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন ইরানের যেকোনো পরমাণু স্থাপনায় যেকোনো সময় পরিদর্শন করতে পারবে। অর্থাৎ ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানকে নজরদারির মধ্যে রাখতে পারবে। এর বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলেন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা যাতে সরে না যায় সেজন্য ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি গত বেশ কিছুদিন ধরে ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর আহ্বানে কোনো গুরুত্ব দেননি ট্রাম্প। তিনি এতদিন ধরে যুক্তি তুলে ধরেছেন যে ইরানের সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছে সেটি শুধু দেশটির পারমাণবিক কার্যক্রমের ওপর এবং এ চুক্তি মাত্র সাত বছরের জন্য। সে চুক্তিতে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে কিছু নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। ট্রাম্প এ চুক্তিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ এবং ‘একপেশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন থামানো যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat