×
ব্রেকিং নিউজ :
খালেদা জিয়ার ১১ মামলা হাইকোর্টে বাতিল ইউএনএইচআর অফিস খোলার বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি : তৌহিদ সবুজ রূপান্তর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সুইডেনের সিটি কর্পোরেশন-জেলা উপজেলা ও পৌরসভায় বসানো হচ্ছে ‘ফুল টাইম’ প্রশাসক : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা দেশের ৮ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়েছে সরকার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের তারিখ পুনঃনির্ধারণের প্রচেষ্টা চলছে : মহাসচিব ন্যাশনাল মেরিটাইম পোর্ট স্ট্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার : নৌপরিবহন উপদেষ্টা পুলিশের সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন গ্রেফতার, হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৫-০৬
  • ৬৮০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- পদ্মাসেতু যেদিন উদ্বোধন হবে সেদিন থেকেই এই সেতু দিয়ে রেল চলার নিশ্চয়তা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। প্রথম দিন ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে পাটুরিয়া-রাজবাড়ী হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রবিবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। বলেন, ‘পদ্মাসেতু যেমন কল্পনা নয় বাস্তব, তেমনি এই সেতু দিয়ে রেল চলবে এটিও বাস্তব।’ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে পদ্মাসেতুর কাজ চলছে পুরোদমে। নানা জটিলতা ও নাটকীয়তার পর নিজ অর্থে এই সেতুর কাজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিরই পরিচয় বলে মনে করে সরকার। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছে সরকার। এই সেতুর কাজ শুরুর পর গাড়ির পাশাপাশি রেল সংযোগ চালুর উদ্যোগও নেয়া হয়। ঘোষণা হয়, দুটোই চালু হবে একইসঙ্গে। তবে নিজ অর্থে মূল সেতু করলেও রেল প্রকল্পের জন্য চীনা অর্থায়নের দিকে তাকিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যে ২৭টি প্রকল্পে অর্থায়নে সমঝোতা চুক্তি হয়, তার একটি ছিল এই প্রকল্প। সমঝোতা অনুযায়ী চীনের কাছ থেকে ৩১৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার ঋণ পাওয়ার কথা ছিল। তবে পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আগেও নানা জটিলতা দেখা দেয় এবং প্রত্যাশিত সময়ের বেশ কিছু পর গত ২৭ এপ্রিল বেইজিংয়ে চুক্তি হয়। সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আর চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দেবে ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। এই চুক্তি হয়ে যাওয়ায় পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগের বিষয়টিতে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানান রেলমন্ত্রী। বলেন, ‘পদ্মাসেতু দিয়ে রেল চলাচলের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত।’ মুজিবুল হক বলেন, ‘পদ্মাসেতু রেলসংযোগ’ প্রকল্পের কাজ শুধু ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজে সীমাবদ্ধ ছিল। মূলত চীনা সহায়তা না পাওয়াই মূল প্রকল্পের কাজ থেমে ছিল। চীনের সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ায় সব ধোঁয়াশা কেটে গেছে।’ মন্ত্রী জানান, ঋণের শর্ত অনুযায়ী পুরো ঋণটিই হবে ‘প্রেফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট’।  এ ঋণে সুদের হার হবে ২ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছর। এর ব্যবস্থাপনা ফি থাকবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। প্রতিশ্রুতি ফি দিতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। সেই সঙ্গে চুক্তি কার্যকর হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই ব্যবস্থাপনা ফি বাবদ ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৩ দশমিক ৭৫ ডলার দিতে হবে চীনা এক্সিম ব্যাংককে। মন্ত্রী বলেন, ‘রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো পদ্মা সেতু পদ্মা রেল প্রকল্প। এর আগে রেলপথে এতবড় কোনো প্রকল্প ছিল না। এই প্রকল্পে অনেক বড় বড় অ্যালিভেটেড সেতু নির্মাণ করা হবে। এমনকি কেরানীগঞ্জ স্টেশনও অ্যালিভেটেড করা হবে।’ পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের ফলে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এতে এসব জেলাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে। কবে নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে- এমন প্রশ্ন মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাজ অনেক দুর এগিয়ে নিয়েছি, খুব দ্রুত এই প্রকল্পের রেলপথের কাজ শুরু করা হবে।’ ‘একইদিনে পদ্মাসেতুতে রেল ও যানবাহন চলবে’ আবারও এই কথা তুলে ধরে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা সেইভাবেই পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রকল্পের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি যেদিন সময় দেবেন ওইদিনই ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হবে। এরপরেই মূল কাজ শুরু হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পদ্মাসেতু প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করার ঘোষণা আছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন, সেতুর কাজ কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে। অবশ্য পরে সড়ক মন্ত্রী একে উড়িয়ে দেন। কবে হবে পদ্মাসেতু? ছয় কিলোমিটারেরও দীর্ঘ সেতুর ৪৫০ মিটার এখন অবধি দৃশ্যমান হয়েছে। চলতি মাসেই আরও একটি স্প্যান বসানো হলো সেতু দৃশ্যমান হবে ৬০০ মিটার, অর্থাৎ ১০ ভাগের এক ভাগ। গত সেপ্টম্বরে প্রথম স্প্যান বসানোর পর মাসে একটি করে স্প্যান বসানোর কথা ছিল। তবে সেটি হয়নি। আর মোট ৪৩টি স্প্যানের মধ্যে চলতি মাসে চারটি বসলেও বাকি থাকবে ৩৯টি। সড়ক মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, শেষ দিকে প্রতি সপ্তাহেই একটি করে স্প্যান বসানো যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat