প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুরক সাক্ষাৎ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে আজ তাদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য-ইউএন রেসিডেন্ট কো অরডিনেটর গুয়েন লুইস, ইউএনআরসি বাংলাদেশ কার্যালয়ের সিনিয়র হিউম্যান রাইটস এডভাইসর হুমা খান, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের প্রধান রোরি মানগোভেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়ের চীফ স্পোকসপার্সন রাভিনা শামদাসানি, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের হিউম্যান রাইটস অফিসার লিভিয়া কোসেনজা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
আলোচনাকালে দেশের বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপের প্রশংসা করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে তাঁর গ্রহণ করা বিভিন্ন উদ্যোগের সফলতা কামনা করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কমিশন গঠন দেশে সুশাসন নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জবাবে প্রধান বিচারপতি প্রতিনিধি দলকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার জানান এবং সুষ্ঠু আইনী প্রক্রিয়া ও মানবাধিকারের সুরক্ষায় দেশের বিচার বিভাগ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মর্মে আশ্বাস দেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
সেখানে হাইকমিশনার জুলাই গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে বলেন, 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে।'
ভলকার টুরক আরও বলেন, 'আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে, সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেনো নিশ্চিত করা হয়, সেটি বলেছি।'
গতকাল দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।
এর আগে বিগত ২৮ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের কার্যালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের প্রধান রোরি মানগোভেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যে সৌজন্য সাক্ষাত করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় আজ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল সুপ্রীম কোর্টে আসেন।