×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২১
  • ৬১৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ডিবেট হওয়া উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকে আমি পলিসি বিষয় বলে মনে করি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এটা নিয়ে একটা ডিবেট হওয়া উচিত। পার্লামেন্টে এটা নিয়ে কথা হওয়া উচিত। পলিসি ডিবেট হওয়া উচিত। এতে করে যারা পলিসি নির্ধারণ বা পলিসি তৈরি করেন তারাও বুঝতে পারবেন কত শতাংশ কোটা থাকা উচিত।’ শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের সংবাদপত্র বিশ্লেষণধর্মী অনুষ্ঠান ‘আজকের সংবাদপত্র’-এ অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অধ্যাপক হাফিজুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মীর মাকসুদুজ্জামান। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা মেধাভিত্তিক প্রশাসন তৈরির অন্তরায় বলেও মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শিক্ষক। তিনি বলেন, সরকারি প্রশাসনে ৫৬ শতাংশ কোটা অযৌক্তিক। প্রশাসনের চাকরিতে একশ শতাংশের মধ্যে যদি ৪৪ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৫৬ শতাংশ কোটায় নিয়োগ পায় তবে মেধাভিত্তিক প্রশাসন পাওয়া যাবে না। অধ্যাপক হাফিজুর বলেন, দেশে প্রতি বছর ২০ লাখ তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। বিপুল সংখ্যক বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকারি ও বেসরকারিভাবে হচ্ছে না। সেজন্য কোটা সংস্কারের আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মনে আবেদন তৈরির এক ধরনের আশার সঞ্চার করেছে। তারা ভাবছে মেধার ভিত্তিতে এবার তাদের মূল্যায়ন বেশি হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আপনি যদি যান তবে দেখতে পাবেন, সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। আবার আর্টিকেল ২৮ বলছে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। একই সঙ্গে রাষ্ট্র যদি পিছিয়ে পড়া কোনো জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো আইন করে কিংবা কোটা রেখে দেয় বা ব্যবস্থা নেয় তাতে বাধার কিছু নেই।’ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কোটা কতটা থাকবে কতটা সংস্কার হবে সেই বিষয়টা স্পষ্ট হওয়া দরকার। এছাড়া সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এটার একটা ফলোআপ এই আন্দোলন। তাই এই আন্দোলনকে আমি যৌক্তিক বলে মনে করি।’ তবে আন্দোলনটা কয়েকটা জায়গায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিমত দেন ঢাবির আইন বিভাগের এই শিক্ষক। বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনটা কয়েকটা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তার একটা হচ্ছে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ। আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিন্তু এই আন্দোলনের প্রতিপক্ষ না। শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের কাছে। কিন্তু তার বাড়িটা যেভাবে ভাঙচুর করা হলো উপাচার্য এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপরে যে হামলাটা করা হলো সেটা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat