- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২১
- ৭৯৩ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক:- নাট্যজগতের তরুণ অভিনেতা মামুনুর রাশেদ। নিয়মিতই অভিনয় করছেন টিভি নাটকে। অভিনয় দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে পায়ের তলার জমি পাকা করে নিতে চান তিনি। যেতে চান বহুদূর। জানালেন তার বর্তমান কাজ ও ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা সম্পর্কে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরিফ হাসান ও আরাফাত হোসেন।
অভিনয়ে আসলেন কীভাবে?
মামনুর রাশেদ: মানুষ যদি চেষ্টা করে তাহলে ইচ্ছাপূরণ করতে পারে। আমি মন থেকে চেয়েছিলাম অভিনেতা হব। তাই আল্লাহ আমার ইচ্ছাপূরণ করার পথ দেখিয়েছেন। পঞ্চগড়বাসী ও সেখানকার স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের উৎসাহ, থিয়েটারের গুরুজনদের উৎসাহ, ইফতেখার শুভ ভাইয়ের উৎসাহ এবং অন্যরকম গ্রুপের সহকর্মীদের উৎসাহে অভিনয়ে আসা।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে দেশীয় তারকাদের মধ্যে কাকে অনুসরণ করেন?
মামুনুর রাশেদ: নির্দিষ্ট কাউকে অনুসরণ করি না। তবে হুমায়ুন ফরীদি স্যার, তারেক আনাম স্যার, শতাব্দী ওয়াদুদ ভাই, মোশাররফ করিম ভাই এবং আফরান নিশো ভাইয়ের অভিনয় ভালো লাগে। তাদের অভিনয় দেখে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করি।
অভিনয়ে আসার ব্যাপারে পরিবারের সমর্থন কতটা?
মামনুর রাশেদ: শতভাগ সমর্থন আছে। ২০০৮ সাল থেকে আমি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করছি। প্রতিটা শো-তে আমার মা প্রথম সারিতে বসে আমার অভিনয় দেখতেন এবং উৎসাহ দিতেন। এমনকি এখনো দিচ্ছেন। মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হলেই তিনি বলেন, ‘কবে কোন চ্যানেলে তোমার নাটক যাচ্ছে, আমি দেখব। আমার প্রতিটি নাটকই তিনি সপরিবারে বসে দেখেন। এ ছাড়া আমার বাবা, ভাই-বোন, ভাবীর কাছ থেকেও সব সময় উৎসাহ পাই।
বর্তমানে কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত?
মামুনুর রাশেদ: ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর ডটকম’ এবং পরিচালক হারুন রুশোর টেলিছবি ‘হারমোনিয়াম’-এর শুটিং শেষ করেছি। এখন ঈদ উপলক্ষে নির্মিত খণ্ডনাটক ‘অলৌকিক বিবাহযাত্রা’ এবং ‘ডেডবডি’র কাজ করছি। সামনে ‘উর্বর মস্তিষ্ক’, ‘ভিলেজ কাপ’, ‘ক্ষমতা’, ‘বাস ডাকাতি’ ইত্যাদি নাটকে কাজ করার কথা চলছে। এ ছাড়া দুটি ধারাবাহিক নাটকেও কাজ করার কথা রয়েছে।
পড়াশোনা করেছেন কোথায়?
গ্রামের বাড়ি খানপুকুর খোলাপাড়া, পঞ্চগড় সদর থেকে এসএসসি পাস করেছি। ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার শেষ করেছি সেখানকারই বিএমআই টেকনিক্যাল কলেজ থেকে। এখন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছি।
অভিনয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মামুনুর রাশেদ: প্রতিটি মানুষই চায় বর্তমানের চেয়ে ভালো অবস্থানে যেতে। আমিও চাই। তাই সারাজীবন অভিনয় করে যাওয়াটাই আমার লক্ষ্য। দেশের নামকরা ও সেরা অভিনেতাদের কাতারে থাকতে চাই। ভবিষ্যতে নাটক প্রযোজনা করার ইচ্ছা আছে। সামর্থ্য হলে ভবিষ্যতে একটা থিয়েটার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করব। এর মাধ্যমে যেন নতুনরা অভিনয়ের সুযোগ পায়। অভিনয়ের ওপর বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করারও ইচ্ছা আছে। অভিনয় দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। সর্বোপরি, অভিনয় দিয়েই সবার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..