- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১৬
- ৭৪২ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতা তাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একজন নেতা বলেছেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী।
একটি জাতীয় দৈনিকে আসা প্রতিবেদনে বাবার নাম ও হলের কক্ষ নম্বর ভুল এসেছে জানিয়ে অন্যজন বলেছেন, কাজেই এই প্রতিবেদনে সব তথ্যই ভুল।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
সকালে ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদকে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া হাসান আল মামুন, রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, নুরুল হক নূরকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় যাদে এই চারজনের শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদের মধ্যে হাসান আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আর ফারুক এস এম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভোল পাল্টালেও তাদের শিবির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
এর প্রতিবাদে করা সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনকে অপপ্রচার আখ্যা দিয়ে প্রমাণ দিতে ইত্তেফাকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিকাল পাঁচটার মধ্যে প্রমাণ দিতে না পারলে ইত্তেফাককে বয়কটের ঘোষণাও দেয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনে যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘সারা বাংলার ছাত্র সমাজকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী।’
ফারুক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আমরা আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। কিন্তু বাংলাদেশের একটা কুচক্রি মহল এখন আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে উঠে পঠে লেগেছে।’
‘আজকে বাংলাদেশের একটা জাতীয় দৈনিক রিপোর্ট করেছে আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি নাকি বিএনপি এবং জামায়াতের সাথে জড়িত। অথচ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের ডিটেইলস গোয়েন্দা সংস্থারা নিয়ে গিয়েছে। তারা তখন কিছু পায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের নেগেটিভলি উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
‘আজকে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, যে রিপোর্টার এ বানোয়াট রিপোর্ট করেছে আজকে বিকাল পাঁচটার মধ্যে যদি এই সংবাদ প্রত্যাহার না করে এবং ক্ষমা না চায় তাহলে আগামীকাল থেকে ইত্তেফাক পত্রিকাকে বর্জন করা হবে।’
আন্দোলনকারী সংগঠনের আরেক যুগ্ম আহ্বানায়ক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটা জাতীয় দৈনিকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমি নাকি সূর্যসেন হলে ২০১২ সালে ছিলাম। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তি হই ২০১৩ সালে। হলে উঠি ২০১৩ সালে ‘
‘সেখানে বলা হয়েছে আমি হলে থাকি না ২০১২ সাল থেকে। অথচ আমি এখনও হলে থাকি। আমার যে রুম নম্বর দেওয়া হয়েছে সেটাও ভুল দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে আমার বাবার নাম ও ভুল দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যা তথ্য দেওয়া হয়েছে সব ভুল।’
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..