- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-১৬
- ৭৫০ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- বাকি জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলন। এজন্য তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালামারী ও মধুখালীতে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে তা অব্যাহত রাখতে তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গায় বৈশাখী মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।
উপজেলার চরডাঙ্গা, চর ধানাইড়, সিকিপাড়া ও চর আজমপুর এবং রায়ের পানাইল গ্রামবাসীর উদ্যোগে বৈশাখী মেলা ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতা শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে প্রধান অতিথির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ।
লিখিত বক্তব্যে দোলন বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করার জন্য। আপনাদের সেবা করার জন্য। আমি ভৃত্যের মানসিকতা নিয়ে আপনাদের সেবা করতে চাই। ভৃত্যের মানসিকতা নিয়ে যদি কাজ করি, তাহলে জনসেবা করা সম্ভব। আর তা না হলে সম্ভব নয়। কারণ, মনিব ভৃত্যের সেবা করে না, ভৃত্যই মনিবের সেবা করে। আমি মনে করি, জনগণ হলো মনিব। আর আমরা যারা জনপ্রতিনিধি হতে চাই, আমরা হলাম ভৃত্য।’
দোলন বলেন, ‘আপনারা জানেন, দুই বছর আগে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলাম। ওই দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। আল্লাহর বিশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমি সেদিন বেঁচে গিয়েছিলাম। সেদিন থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার বাকি জীবনটা মানুষের কল্যাণে কাটিয়ে দেব। বিশেষ করে আমি যে মাটিতে বেড়ে উঠেছি, এখানকার মানুষের জন্য কাজ করবো।’
এই সময় সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমি বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালীর রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, এছাড়া সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করছি। এসব করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আমাকে নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। এখনো হচ্ছে। আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-টিটিসি হচ্ছে। এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি অনেক বড় আশির্বাদ। এখান থেকে ছেলে-মেয়েরা কারিগরি শিক্ষা নিয়ে সহজেই চাকরি পাবে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে। সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা আছেন বলে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
সমাজসেবামূলক সংস্থা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দোলন বলেন, ‘আপনারা জানেন, পারিবারিকভাবেই মানুষের জন্য কাজ করার ঐতিহ্য আমাদের আছে। সেই ধারাবাহিকতায় কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করছি। অসহায়, দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন নিয়মিত কাজ করছে। এছাড়া অসহায়, অস্বচ্ছল অসংখ্য মেধাবীদের পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। বেগম শাহানারা একাডেমি নামে আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে একটি প্রতিষ্ঠান করেছি। এই প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে। বেকার জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ করার কাজও আমরা করছি। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।’
আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল ইসলাম (ওহিদ) এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, টগরবন্দ ইউপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. হালমি মিয়া, সমাজ সেবক তহীদুল ফকির প্রমূখ।
এই প্রতিযোগিতা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সমবেত হন কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..