×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৬
  • ৮৬৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন ডেস্ক:- কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে বলিউডের ভাইজান সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের যোধপুর আদালত। রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে সোজা তাকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের রাতটা সেখানেই কাটিয়েছেন ‘দাবাং’ হিরো সালমান। সেখানকার জেল কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে শাস্তি ভোগ করছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত ভারতীয় ধর্মগুরু আসারাম বাপু। নিজ আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হন তিনি। সেই ধর্ষক বাবার সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন সালমান খান। দুই নম্বর ব্যারাকের দুই নম্বর সেলে রাখা হয়েছে তাকে। এই জেলে অবশ্য এর আগে ১৯৯৮, ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে আরো তিন দফায় ১৮ দিন কাটিয়েছেন নায়ক। সব ক’টি মামলাই হরিণ চোরাশিকারের। ১৯৯৮ সালে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ১ অক্টোবর মাঝরাতে সাইফ, টাবু, সোনালি ও নীলমের সঙ্গে একটি মারুতি জিপসিতে বেরিয়েছিলেন সালমান। অভিযোগ, সেই সময়েই যোধপুরের কাছে বিশ্নোই সম্প্রদায়ের কঙ্কনি গ্রামে নিজের রাইফেল থেকে গুলি করে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন তিনি। কৃষ্ণসার বিপন্ন প্রাণী। বিশ্নোইরা কৃষ্ণসারের রক্ষক হিসেবে মনে করেন নিজেদের। সালমানের জিপসির নম্বর পুলিশকে তারাই দিয়েছিলেন। বন্যপ্রাণ আইনে ২০ বছর ধরে মামলা তারাই চালিয়েছেন। প্রায় একই সময়ে রাজস্থানে চিঙ্কারা হরিণ শিকারেরও অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। আছে মুম্বইয়ে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চাপা দিয়ে এক পথচারীকে হত্যার অভিযোগও। সেই দু’টি মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রথমে খবর প্রচার হয়, মাত্র দুই বছরের জেল হয়েছে সালমান খানের। তিন বছরের কম মেয়াদের সাজা হওয়ায় যোধপুর আদালত থেকেই তিনি জামিন পাবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। ভক্তরা উৎসবের তোড়জোড়ও শুরু করছিলেন। এমন সময়ে ফের ঘোষণা, আগের খবরটা ভুল! পরের দেড় ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস টেনশন। দুপুর ২টা ১০ নাগাদ আবার ‘ব্রেকিং নিউজ’- পাক্কা পাঁচ বছরের জেল অভিনেতার, সঙ্গে ১০ হাজার রূপি জরিমানা। সাজা ঘোষণা হতেই সালমানের পরিবারের লোকদের দূরে গিয়ে বসতে বলেন দায়িত্বরত পুলিশরা। কেননা, ভাইজানকে তখন জেলে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সাজানো হয় পুলিশের গাড়ির কনভয়। বেশ খানিক ক্ষণ পরে সাদা পর্দা-ঘেরা একটা বোলেরোয় তোলা হয় সালমানকে। আদালতের বাইরে তিন স্তর নিরাপত্তার সর্বশেষ ব্যারিকেডের ধারে বিশ্নোইরা তখন হাতে হাতে বিলাচ্ছিলেন গুড়ের টুকরো। ওটাই তাদের মিষ্টিমুখ। বৃহস্পতিবার থেকে এখনও পর্যন্ত জেলেই রয়েছেন সালমান। সাধারণ কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে তাকে। দেয়া হয়নি কোনো বিশেষ সুবিধা। এমনকি, সালমান নিজে থেকেও কোনো বিশেষ সুবিধা দাবি করেননি। জেলখানায় ১০৬ নম্বর কয়েদি তিনি। জামিন না হওয়া পর্যন্ত এটাই বলিউড সুপারস্টারের পরিচয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat