- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-০৫
- ৭১১ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস মূল্য সূচকের বড় উত্থান হলো।
মূল্য সূচকের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার উভয় বজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৮৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি শেয়ারের দর।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৭২ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৪৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর) সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে এক শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যাংক খাতে দেয়া এই সুবিধার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।
ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, ব্যাংক খাতের জন্য সরকার যে ছাড় দিয়েছে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যেই এক ধরনের আস্থা সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, সরকার যেকোনো উপায়ে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শেয়ারবাজার ভালো রাখতে চাই। তারই ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে।
ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সিআরআর কমানো ব্যাংক খাতের জন্য একটি বিরাট রিলিফ। সিআরআর এক শতাংশ কমানোর কারণে ব্যাংকগুলো ১০-১৫ হাজার কোটি টাকার সাপোর্ট পাবে। অর্থ বাজারে যে তারল্য সঙ্কট দেখা দিয়েছিল তা কেটে যাবে। শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকের বিনিয়োগ উঠিয়ে নেয়ার যে শঙ্কা ছিল, সেটা হবে না। সেই সঙ্গে সুদের হারও কমে আসবে। আর সুদের হার কমলে পরোক্ষভাবে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বৃহস্পতিবার টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- আমরা নেটওয়ার্ক, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, মুন্নু সিরামিক, সিটি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১০৭ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৮৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..