সুলতানা আক্তার
:–
মেদ কমানোর বেশ কিছু উপায় রয়েছে, খুব বেশি ভারী কাজ বা ডয়েটিং না করেও কিছু কিয়াজ করেই কমিয়ে ফেলা যায় পেটের অতিরিক্ত মেদ। শীতকালে নানা উৎসবের কারণে খাওয়া বেশি হয় বলে ওজনও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন গ্রীষ্মের সুন্দর জামা-কাপড়গুলো আর ঠিকমতো শরীরে লাগে না। তাই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ শীতে জমে যাওয়া মেদ কমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই বাড়তি চর্বি গায়ে বসে গেলে কমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সময় থাকতেই কয়েক কেজি বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে।
কিন্তু কিভাবে?
অনেকদিন থেকে গায়ে জমে থাকা অতিরিক্ত মোটা মানুষের মেদ কমানো অনেক শক্ত ব্যাপার। তাই অত দূর পর্যন্ত যেতে না দিয়ে আগেই সতর্ক হওয়া উচিত। তাই আজ থেকেই শুরু করে দিন হাঁটাহাঁটি।
মিউনিখ শহরের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ ও স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ প্রফেসার মার্টিন হালে বলেন, শুধু হাটার জন্য হাটলে চলবে না। নিয়ম করে প্রতিদিন খুব
দ্রুত গতিতে কমপক্ষে ১৫ মিনিট হাঁটতে হবে।
জগিং যখন আরামদায়ক
আরাম করে জগিং করলে ক্যালোরি খরচ হয় কম, তাই খুব দ্রুত গতিতে হাঁটা প্রয়োজন। এই যেমন- ১৫ মিনিট জোরে জোরে হাঁটায় খরচ হয় ১৬০ কেজি ক্যালোরি। এতে বছরে সাত থেকে আট কেজি এমনিতেই কমার কথা। আসলে এ বিষয়ে নিজের জন্য একটি ‘কনসেপ্ট’ তৈরি করতে হবে, যাতে থাকবে কিভাবে, কী কী করা যায়!
হাঁটার সময় অন্য কিছু নয়
হাঁটার সময় ফোনে কথা বলা বা অন্য কোনো কাজ করলে কিন্তু চলবে না। এতে মনোযোগ চলে যায় অন্যদিকে, কাজেই হাঁটাতেই পুরো মনোযোগ দিলে স্বাভাবিকভাবে ফলাফলও ভালো হয়।
খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম
খাওয়া-দাওয়ার দিকেও খানিকটা নজর দিতে হবে। তবে তাই বলে পছন্দের খাবারগুলো সব বাদ দিতে হবে- এমন নয়। চর্বি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার কম এবং সে তুলনায় ফল এবং সবজি কিছুটা বেশি খেতে হবে। তবে মিষ্টিজাতীয় পানীয় একেবারে নয়!
শরীরচর্চায় যোগব্যায়াম
সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। কারণ কারো পেশাগত জীবনে বা অন্য কারণে মানসিক চাপ থাকলে যোগব্যায়াম থেকে খানিকটা উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া মানসিক চাপ কম থাকার অর্থই হলো, সব কিছু সহজে হওয়া। অর্থাৎ কয়েক কেজি ওজন কমানো তখন আর কোনো ব্যাপার নাকি?
পানির মধ্যে ব্যায়াম
মাঝে-মধ্যে পানিতে সাঁতার কাটা বা ব্যায়াম করা যেতে পারে। এতেও শরীরচর্চা হয়, তবে এগুলো তেমন জরুরি নয়। নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারলে শরীরটা একটু হালকা বোধ হয়, ফলে বাড়তি মেদ কমানোর আগ্রহ বেড়ে য়ায়।
ইচ্ছেটাই যে সবচেয়ে বড়
শীতকালে জমে থাকা মেদ কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই তা সম্ভব। আর একমাত্র তাহলেই হওয়া যায় মনের মতো ফিগারের অধিকারী। যে কোনো পোশাকেই তখন নিজেকে দেখতে ভালো লাগে। আর মনটাও থাকে আনন্দে!