স্বাস্হ্য ডেস্ক:- গোড়াতেই ধরা পড়লে অনেক দুরারোগ্য রোগের হাত থেকেই নিস্তার পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো মোটেই পাত্তা দিই না। উল্টে বলি‘শরীর থাকলে একটু-আধটু রোগ থাকবেই’। কিন্তু এ রকম করা একেবারেই ঠিক নয়। ক্যানসার এমন একটি রোগ যা ঠিক সময়ে ধরা না পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কতগুলি লক্ষণ দেখা যায়। আর এগুলি জানা থাকলে এই রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়াটাও অনেক সহজ হয়। খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া যায়।
এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ জয়দীপ বিশ্বাস। সেগুলো জেনে নিতে গ্যালারিতে চোখ রাখুন…ফুসফুসের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট৷ কিন্তু হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের মধ্যে পার্থক্য আছে৷ খুব বেশি দিন ধরে শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যানসারের ক্ষেত্রে রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে জ্বর, সর্দি লেগেই থাকে৷ মাঝেমধ্যেই জ্বর, সর্দি চললে অবজ্ঞা না করে চিকিৎসকের কাছে যান।খাবার গিলতে অসুবিধা হয়? এটা কিন্তু ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রথম ধাপ হতে পারে৷ অবহেলা না করে ডাক্তার দেখান।শরীরের কোথাও আচমকা গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া লিম্ফেটিক সিস্টেম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়৷ এটা ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ হলেও হতে পারে৷পেটে ব্যথা লেগেই রয়েছে এমন হলে ভাববেন না যে ‘সিস্ট’ হয়েছে৷ এই ব্যথা কিন্তু যে কোনও ধরণের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে৷রেক্টাম দিয়ে নিয়মিত রক্তপাত হলে সাবধান হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা কোলন ক্যান্সারের খুব সাধারণ লক্ষণ৷ডায়েটিং বা শরীরচর্চা ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে শরীরের ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে৷ কারণ এই রোগে খেতে ইচ্ছে করে না৷ ফলে ওজন কমতে থাকে৷কোনও আঘাত পাননি অথচ শরীরে কালশিটে দাগ দেখা গেলে সেটা লিউকোমিয়া হতে পারে৷ মুখে, ঘাড়ে বা বুকে লাল রঙের দাগ হওয়াটাও ভাল লক্ষণ নয়৷ দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়াটাও কিন্তু মোটেই ভাল কথা নয়। অনেক সময় এই সমস্যাই বিরাট বড় কোনও রোগের আভাস দিতে পারে।কাশি ও ব্রঙ্কাইটিস- এ দুটো দীর্ঘ দিন না সারলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান। এ দু’টোই ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিউকোমিয়ার লক্ষণ হতে পারে৷ সাধারণ ব্রঙ্কাইটিস হলেও তো প্রচণ্ড কাশি ও বুকে ব্যথা হয়৷ ব্রঙ্কাইটিসের কাশি চিকিৎসার পরও ফিরে এলে, বা পুরোপুরি না সারলে, আর একটু দেখি বলে অবহেলা করবেন না৷