- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-৩০
- ৬৫২ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:- রাজশাহীতে কালবৈশাখী তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে অনেক ঘর-বাড়ি ও ফসলের ক্ষেত। সোমবার সকালে মাত্র পাঁচ মিনিটের এ ঝড়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রা। তবে এ দিন শিলাবৃষ্টি হয়নি।
এদিকে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে এক কৃষক মারা গেছে। তার নাম ইয়াকুব আলী (৪০)। তিনি জেলার পুঠিয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের আরজ উদ্দিনের ছেলে। সকালে বেগুনের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী সুলতান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাত্র পাঁচ মিনিটের ওই ঝড়ে তার এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। তখন জমিতে কাজ করছিলেন ইয়াকুব। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা বেগম জানান, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ নটিক্যাল মাইল। সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে ঝড় শুরু হয়। চলে ৮টা ২১ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় বজ্রসহ ভারী বর্ষণ হয়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর আর বৃষ্টি হয়নি। তবে আকাশ রয়েছে মেঘলা।
সরেজমিনে জানা গেছে, কালবৈশাখীতে আম ও লিচুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীর পবা, গোদাগাড়ী, বাঘা-চারঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রমাঞ্চল থেকে গাছপালা ভেঙে গেছে। কাঁচা ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়ে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে যান চলাচলও বন্ধ ছিল কিছু সময়।
এদিকে রাজশাহীর ওপর দিয়ে কালবৈশাখী শুরুর পর গোটা মহানগরী বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। আবার ভারী বর্ষণে নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে গেছে। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সকালের হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মস্থলমুখী মানুষকে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন, এখন বৃষ্টি থেমে গেলেও আকাশে অনেক মেঘ আছে। সূর্য দেখা যাচ্ছে না। তাই আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..