শিশুর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ রংপুরে বিভাগীয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইউনিসেফের সহযোগিতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর 'এক্সিলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি)' প্রকল্পের অধীনে শিশু সুরক্ষা জোরদারের লক্ষ্যে এ প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে।
রংপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোঃ আজমল হোসেন বিভাগীয় সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক সেলোয়ারা বেগম "মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইন" বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়া ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ অফিসার মনজুর আহমেদ এবং ইউনিসেফ মাল্টিমিডিয়া কনসালটেন্ট অপূর্ব কর্মকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সাধারণ) মোঃ আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও রংপুর বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম।
এ ধরনের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ কর্মসূচি আচরণগত পরিবর্তনের জন্য জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের সুরক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক হবে।
এ ক্যাম্পেইন বাল্যবিবাহ ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে আচরণগত পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা এবং এ বিষয়ে একটি শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন করবে।
প্রধান অতিথি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে শিশুদের প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা, শিশুশ্রম, যৌন হয়রানি ও বাল্যবিবাহ বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জেলা প্রশাসক প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং যেসব জেলায় বাল্যবিবাহ শিশুদের ওপর সহিংসতার হার বেশি সেখানে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে প্রচারণার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের ইতিবাচক আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষতিকর সামাজিক রীতিনীতি দূর করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেন।
ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন হোসেন শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ এবং কন্যাশিশুর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের জন্য পারিবারিক ও সামাজিক স্তরে নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, রংপুর বিভাগের আট জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যুব নেটওয়ার্ক, স্থানীয় স্টেকহোল্ডার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া প্রচারণা জোরদার করা হবে।