হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯২ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত এবং নদীর উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
শহররক্ষা বাঁধও হুমকিতে পড়েছে। আর সামান্য পানি বাড়লেই বিভিন্ন স্থানে বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে। অপরদিকে শহরতলীর জালালাবাদ গ্রামের পাশে খোয়াই নদীর বাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। ক্রমান্বয়ে ভাঙ্গনটিও বড় হচ্ছে। এভাবে পানি হাওরে প্রবেশ করতে থাকলে খুব দ্রুতই পানি জনপদে প্রবেশ করতে পারে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, খোয়াই নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জেলা শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯২ সেন্টিমিটার এবং ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বাল্লা পয়েন্টে ২৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আমরা ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছি। তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ভারত সবগুলো গেইট একসাথে খুলে দেওয়ায় হবিগঞ্জে খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনীসহ সবগুলো নদীর পানি এভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোয়াই নদীর পানি যদি আরও বৃদ্ধি পায় তবে শহর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাঁধ ভাঙ্গতে পারে। বাঁধ ঝুকিপূর্ণ হয়েছে কারণ বছরের পর বছর ধরে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর বালু উত্তোলনের জন্য বাঁধে কেটে গাড়ির রাস্তা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শহরতলীর জালালাবাদ এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধে সম্প্রতি একটি ভাঙ্গন দেখা দেয়। ওই ভাঙ্গন দিয়ে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। অনেক স্থানে বাঁধে ভাঙ্গনের আশঙ্কায় মানুষ রাত জেগে পাহারা দেন। এখন খোয়াই বাঁধের সব জায়গাই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ইদুরের গর্তও আছে। নদীর পানি একেবারে তীরের সমান হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আজ (বৃহস্পতিবার) নদীর পানি কিছুটা বাড়তে পারে।