জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে যুব ও তরুণদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুবক ও তরুণরাই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন-সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে। অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু যুবক ও তরুণ শ্রেণির প্রতি নির্ভর করতেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা রুখতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যুব ও তরুণদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘আমার জীবন, আমার স্বপ্ন’ প্রতিপাদ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে শিশু ও যুব সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনের হেড অব কো-অপারেশন জো গোডিংস এবং কানাডিয়ান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রিটা হুকায়েম এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল। সেখান থেকে আন্দোলন ও নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আজ উন্নয়নের বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের দর্শন হচ্ছে ‘কাউকে পিছনে ফেলে উন্নয়ন নয়’- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিশু, যুবক ও তরুণদের বিষয়ে সরকার যুববান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। তরুণদের আগামীর বাংলাদেশের কান্ডারী হিসেবে তৈরি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ৫ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
দেবাশিষ আর সরকার এবং নিশাত বিনতে রায়হানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচালক সুরেশ বার্টলেটসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।