পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন হরমোন বিশেষজ্ঞরা।
পিসিওএস হলো মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার। পিসিওএস আসলে একটি হরমোনজনিত ব্যাধি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘বিশ্ব পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) অ্যাওয়ার্নেস মান্থ’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অডিটরিয়ামে এক সায়েন্টিফিক সেমিনারে এই গুরুত্বারোপ করেন হরমোন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রধানতম সংগঠন ‘বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি’ (বিইএস) এই সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের মধ্যে পিসিওএস নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তরুণ চিকিৎসকদের এই ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই তরুণ চিকিৎসকরা যেন পিসিওএস এর ব্যাপারে গবেষণা করে থিসিস জমা দেন।
থিসিসের পেপারস্ এর ওপর নির্ভর করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরষ্কৃত করা হবে।
বিইএস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, এখনকার নারীদের জন্য পিসিওএস একটি নিয়মিত উপসর্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপসর্গ থেকেই আসলে শুরু। তাই জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আর এই সচেতনতা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। এরপর সারাদেশ ও সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। রেনাটা লিমিটেড পিসিওএস টাস্ক ফোর্সকে সবসময়ই সহযোগিতা করে আসছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতাও এজন্য প্রয়োজন।
সচেতনতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির (বিইএস) সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, পিসিওএস এর জন্য নারীরা যে সমস্যার সম্মুখিন হয় তার জন্য তারা ‘বুলিংয়ের’ শিকার হন। এটি অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। নারীদের পিসিওএস প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে এখানে সামাজিকভাবেও সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় সেমিনারে বিইএস পিসিওএস টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়ক ডা. মারুফা মুস্তারি, সদস্য সচিব ডা. এবিএম কামরুল হাসান, রেনাটা লিমিটেডের ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলা থেকে এ উপলক্ষ্যে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বারডেম হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়। পিসিওএস প্রজননক্ষম নারীদের হরমোনজনিত সমস্যা। এই রোগের কারণে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনসন, ওজন বৃদ্ধি, বন্ধ্যাত্বতা, জরায়ু ক্যান্সার, অবাঞ্চিত লোম, রক্তে চর্বি, গর্ভপাত, ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় নারীদের।