বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মানুষের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন বিভাগ/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সততার সাথে প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের বেশিরভাগ সেবা এখন অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। মানুষ অনলাইনে সেবা গ্রহণে অভ্যস্ত হচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করতে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২২ প্রদান, উদ্ভাবন সম্ভাবনা এবং এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে অতি সহজে কম সময়ের মধ্যে সেবা পেতে পারেন, সেজন্য ইতোমধ্যে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসগুলোর পরিদপ্তরকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বেশিভাগ কাজ এখন অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি বলেন,‘আমি বিশা¦াস করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত অফিসগুলোর সেবার মান আগের যে কোন সময়ের তুলনায় সহজ ও আধুনিক হয়েছে। সেবা পেতে এখন আর মানুষকে কষ্ট করতে হয় না। সেবার মান বৃদ্ধিতে আমাদের সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,‘আমি জানি আপনাদের অনেকেই এ পুরষ্কার পাবার যোগতা রয়েছে, কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার আমাদের সুযোগ নেই। আগামীতে পর্যায়ক্রমে নিশ্চয় সবাই এ পুরষ্কার পাবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়।এ মন্ত্রণালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং সেবার মান আরও উন্নত করতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রকিবুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এফটিএ-১) মো. আব্দুছ সামাদ আল আজাদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-২) খন্দকার সাদিয়া আরাফিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মো. রবিউল ইসলাম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো. মোশাররফ হোসেন।
উদ্ভাবন সম্ভাবনায় বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যার মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যূরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রকিবুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসগুলোর পরিদপ্তরের নিবদ্ধক শেখ শোয়েবুল আলম এবং ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান। উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগের অতিরিক্তি সচিব নুসরাত জাবিন বানু, সেবা সহজীকরণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মালেকা খায়রুন্নেছা এবং সেবা ডিজিটালাইজেশনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নুর মো. মাহবুবুল হক।
বাণিজ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত সকলকে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট এবং একমাসের মূল বেতনের সমান অর্থ প্রদান করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সকল বিভাগের প্রধান এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।