করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতে আজ বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
আজ সকাল ৯টার দিকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে।
শারিরীক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হওয়ায় আদালত চত্বরে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে।
এদিকে, আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারণা সকাল থেকে শুরু হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সব প্রবেশ মুখে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা ভোট চেয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সমিতির মেইন বিল্ডিং থেকে এনেক্স ভবনে যাওয়ার করিডোরেও প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা করছেন তাদের সমর্থকেরা।
শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩ মার্চ। নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিমকোর্টে শারিরীক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হয়। দেড় মাস পর সরাসরি বিচারকাজে ফিরলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সালের মার্চে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় বিচারব্যবস্থা বন্ধ ছিল। সুপ্রিমকোর্ট ২০২০ সালের ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়ালি আদালতের কার্যক্রম শুরু করে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু করা হয়। পাশাপাশি ভার্চুয়ালিও চালু থাকে।
তবে, আপিল বিভাগ এবং চেম্বার কোর্ট ভার্চুয়ালি চলছিল। দেড় বছরের বেশি সময় এ প্রক্রিয়ায় বিচারকাজ চলার পর গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিমকোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট ভার্চুয়ালি চালানোর সিদ্ধান্ত এসেছিল। এক পর্যায়ে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আইন ২০২০ প্রণয়ন করে সরকার। যা জাতীয় সংসদে পাস হয়।