সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিমকোর্ট বার) ২০২২-২০২৩ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক পদে এডভোকেট মো. আব্দুন নূর দুলালকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মনোনয়ন বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সিনিয়র এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়নের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সিনিয়র এডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরকে সভাপতি পদে, এডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন ও শহীদুল ইসলাম সহ-সভাপতি পদে (সহ-সভাপতি দু’টি পদ), এডভোকেট মো. আব্দুর নূর দুলালকে সম্পাদক পদে, এডভোকেট ইকবাল করিম কোষাধ্যক্ষ পদে, এডভোকেট হারুনুর রশিদ ও ব্যরিস্টার হামিদুর মিজবাহকে সহ-সম্পাদক পদে (সহ-সম্পাদক দু’টি পদ), কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে ৭ জন হলেন-এডভোকেট পলাশ রানা, মুনমুন নাহার, সুব্রত কুমার কুন্ডু, শফিক রায়হান শাওন, শাহাদত হোসেন রাজিব ও এডভোকেট ফাতেমা বেগম রীনা।
২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন ২০২২-২০২৩ এর তফসিল ঘোষণা করা হয়। সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২৩ কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদান, ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় মনোনয়ন বাছাই এবং ৬ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ধার্য রাখা হয়েছে।
কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে দু’টি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহ-সম্পাদক পদে দু’টি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে সাতটি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, কার্যকরী কমিটির ১ ফেব্রুয়ারির ১১তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্যকরী কমিটির সাতটি সদস্য পদের ভোট গণনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে।
সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী সাব-কমিটি (নির্বাচন কমিশন) গঠন করা হয়েছে।