এক ছেলের জিম্মায় থাকা জাতীয় পার্টি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন ভরসাকে হাজির করাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার অন্য নয় সন্তানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আজ এই আদেশ দেন।
রুলে ভরসার ছেলে মো. সাইফুল উদ্দিন ভরসার (শিমুলের) হেফাজতে বন্দি করিম উদ্দিন ভরসাকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে আটকে রাখা হয়নি তা নিশ্চিত করতে আদালতের সামনে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, একইসঙ্গে করিম উদ্দিন ভরসাকে বাকি নয় সন্তানের (আবেদনকারী) যৌথ নিরাপদ হেফাজতে কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি), রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার, রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে মো. সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুল, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও গুলশান থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাইফুল উদ্দিন ভরসাকে (শিমুল) ৬ মার্চ তার বাবাকে আদালতে হাজির করাতে নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফরোজা ফিরোজ মিতা, কামরুন মাহমুদ, সাবরিনা জেরিন ও এম আব্দুল কাইয়ূম।
আইনজীবী আব্দুল কাইয়ূম জানান, নিম্ন আদালতের একটি মামলায় করিম উদ্দিন ভরসাকে তার এক ছেলে সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুলের জিম্মায় দেয়া হয়। কিন্তু সাইফুল উদ্দিন ভরসা শিমুল তার বাবাকে জিম্মা নিয়ে প্রায় বন্দি করে রেখেছেন। তিনি তার অন্য ভাই-বোনদের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছেন না। এজন্য করিম উদ্দিন ভরসার নয় সন্তান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তারা তার বাবাকে হাইকোর্টে হাজির করতে হেবিয়ার্স কর্পাস রিট পিটিশন দায়ের করেন। শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন এবং করিম উদ্দিন ভরসাকে ৬ মার্চ হাজির করাতে সাইফুল উদ্দিন ভরসাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
করিম উদ্দিন ভরসা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের রংপুর জেলা সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনে রংপুর-১ (গঙাচড়া) আসন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।