চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, সরকারি হাসপাতালের সাথে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শিশুবান্ধব হাসপাতালে রূপান্তর করতে সরকার সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডাক্তার-নার্সদের আরও আন্তরিক হতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন লয়েল রোডের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘শিশুবান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচি’ বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শাখাওয়াত উল্লাহ ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়ুয়া। কর্মশালার উদ্বোধনী দিনে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক (শিশু) ডা. জেবীন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রওশন আরা বেগম শিমুল। কর্মশালায় নগরীর বেসরকারি ডেল্টা হাসপাতাল, ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও রয়েল হাসপাতালের ৫০ জন ডাক্তার-নার্স অংশ নেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে দেশে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। সরকারের একার পক্ষে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়। বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও করোনা-ওমিক্রন মোকাবিলার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে রাজধানী ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রাম এখনো পর্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ডাক্তার-নার্সগণ আরও আন্তরিক হলে শিশুবান্ধব হাসপাতাল ও পরবর্তীতে নারীবান্ধব হাসপাতাল গড়াসহ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ঈর্ষনীয় সাফল্য আসবে।