সারাদেশে ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসিতে ১ লাখ ১ হাজার ১০২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। যা বিগত পাঁচ বছরের রের্কড ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ হাজার ৯৮১ জন ছাত্র আর ছাত্রী ৫১ হাজার ১২১ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রও বাড়ানো হয়েছে ৫টি।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় মোট ১১২ টি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করবে ২৬৭ টি কলেজ। নতুন ৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া সরকারি কলেজ , চান্দঁগাও এর সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চকরিয়া সিটি কলেজ, বান্দরবান ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মোট কেন্দ্র ছিল ১০৭ টি। এবার বেড়েছে আরও ৫টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে ২৭টি সহ চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষা কেন্দ্র ৬৮টি, কক্সবাজার জেলায় ১৮টি, রাঙামাটি জেলায় ১০টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৯ টি ও বান্দরবান জেলায় ৭টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে গতবছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৩ হাজার ১৩৫ বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২০ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ৯৭ হাজার ৯৬৭ জন। ২০১৯ সালে ৯৮ হাজার ৯২৬ জন। ২০১৮ সালে ৯৬ হাজার ৮৫৮ জন । ২০১৭ সালে ৮২ হাজার ৪১৪ জন। ২০১৬ সালে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮৬ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী।
এ বছরের চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০ হাজার ৩৬০ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩৬ হাজার ৫৮৯ জন, মানবিক বিভাগে ৪৪ হাজার ১৪৪ জন ও গার্হস্থ্য বিভাগ থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
জেলা ভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলায় মহানগরসহ মোট পরীক্ষার্থী ৭৪ হাজার ৮৭৪ জন। কক্সবাজার জেলায় ১২ হাজার ৭১৬ জন। রাঙামাটি জেলায় ৪ হাজার ৭৬১ জন। খাগড়াছড়ি জেলায় ৫ হাজার ৮৫৩ জন। সবচেয়ে কম পরীক্ষার্থী নিয়ে বান্দরবান জেলায় অংশগ্রহণ করছে ২ হাজার ৮৯৪ জন পরীক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার ৩টি বিষয়ে পরীক্ষা হবে।
প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কেন্দ্রের আসন গ্রহণ করতে হবে। করোনায় স্থবিরতার মধ্যে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল এবছর। তাই আমাদের আরও নতুন পাঁচটি পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সকালে নির্ধারিত পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১.৩০টা আর দুপুরে নির্ধারিত পরীক্ষা বেলা ২টা থেকে বিকেল ৩.৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর দিয়ে ৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনসহ মোট ৭২ টি ভিজিল্যান্স টিম করা হয়েছে । এর মধ্যে সাধারণ ৬০টি ও বিশেষ টিম ১২টি।