এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সাথে মেন্টর হিসেবে থাকছেন ভারতের হয়ে দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনিকে মেন্টর হিসেবে পেয়ে উচ্ছসিত ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
কোহলি জানান, ধোনি একজন ‘অনুপ্রেরণা’। ভারতের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিলো তার। ভারতের মেন্টর হিসেবে তাকে পেয়ে আমরা উচ্ছসিত। ধোনির উপস্থিতিতে দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।
ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি, ২০১১ সালে ওয়ানডে এবং ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারতীয় দল। আইসিসির তিন ইভেন্টে তিন শিরোপা জয় করা একমাত্র অধিনায়ক ধোনি। টেস্টেও ভারতকে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে তুলতে বড় অবদান ছিলো তার।
ভারতের অনেক সাফল্যের পেছনে ধোনির অধিনায়কত্ব প্রশংসনীয়। অধিনায়ক হিসেবে তিনি অনেক সিদ্বান্ত নিয়েছেন, যা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অবাক করেছে। ধোনির অধীনেই বহু ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। তাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পূর্বসূরিকে মেন্টর হিসেবে পেয়ে উচ্ছ্বসিত কোহলি। মেন্টর হিসেবে ধোনিকে পাওয়া দলের সবার জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন কোহলি।
তিনি বলেন, ‘ খেলার সময় আমাদের সবার জন্য একজন পরামর্শদাতা ছিলেন ধোনি। এখন আবার একই কাজ চালিয়ে যাবার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোন দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি একটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।’
কোহলি আরও বলেন, ‘তাকে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। তার উপস্থিতি অবশ্যই দলের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিবে। দল হিসেবে যতটা আছে এর চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’
সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন ধোনি। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জয় তার নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বদলে দিয়েছে।
কোহলি বলেন, ‘ব্যাপক প্রভাব রেখেছিল। আমার মনে হয়, সেই দিন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সম্পর্কে সত্যিই কেউ জানতো না এবং পরবর্তীতে শিরোপা জয়ের পর আইপিএলের আবির্ভাব খেলাটিকে পুরোপুরি বদলে দেয়।’
২০০৮ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন কোহলি। ধোনির অধীনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন কোহলি। ধোনির অধিনায়কত্ব খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার। সেই অভিজ্ঞতা অর্জনও করেছেন কোহলি।
কোহলি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন ধোনি। তা আমরা ব্যবহার করতে চাই এবং ম্যাচ নিয়ে তার সাথে আলোচনা করতে চাই। ম্যাচ কোন দিকে যাচ্ছে এবং কিভাবে আমরা ছোট একটি পদক্ষেপে উন্নতি করতে পারি, এসব কৌশলগত ও জটিল বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।’
আগামী ২৪ অক্টোবর চিরপ্রতিন্দ্বন্দি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ভারত।