শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে সে ক্ষেত্রে বিকল্প মূল্যায়নের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন,তবে এখন পর্যন্ত এসব পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
আজ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জ জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলীম মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় শিক্ষা মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘গত বছরের শেষে এবং এ বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘৫ শতাংশের নিচে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটা পরিস্থিতি হয়। কিন্তু এখন তো অনেক বেশি। সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মানলে সংক্রমণ কমবে। আমরা তো মানছি না, আর মানছি না বলেই বার বার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক রকম চিন্তা আছে। কিন্তু পরীক্ষা হবে কী হবে না, এই মুহূর্তে বলে দিতে পারছি না। হয়ত বা খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে, পরীক্ষা নিতে পারবো কি পারবো না। সেটা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু যেটাই হোক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের অ্যাসাইনমেন্ট আমরা দিচ্ছি। চেষ্টা করে যাবো, আরো কিছুদিন হয়ত দেখতে হবে। যদি দেখি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একবারেই খোলা সম্ভব হচ্ছে না তখন আমরা বিকল্প অনেক কিছুই চিন্তা করে রেখেছি। সব রকমের সিনারিও চিন্তা করে কী কী সম্ভাব্য বিকল্প থাকতে পারে সেটা নিয়ে কাজ করছি। যদি পরীক্ষা নেওয়া না যায় তাহলে বিকল্প কীভাবে মূল্যায়ন হতে পারে, সেগুলো আমরা ভাবছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার চাপ রেখে আনন্দের মধ্য দিয়ে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা শিখবে সেটা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যাসাইনমেন্টও এক ধরনের পরীক্ষা। এটা কন্টিনিয়াস অ্যাসেসমেন্টের একটি পার্ট। আমরা অনেক রকম মূল্যায়নের চেষ্টা করছি।
এসময় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন গেমস -এ আসক্ত হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে নজর রাখতে অভিভাবকেদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
পরে, দুপুরে ইডেন মহিলা কলেজে, মোহাম্মপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে, আগারগাঁও মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৩৩ লাখ গাছ লাগানো হবে।