তিনটি এক্সজিও কার, একটি প্রভোক্স ও এ্যাম্বুলেন্সসহ পলেস্টার ফেব্রিক, টি-শার্ট, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, মেশিনসহ মোট ৭৬ লট পণ্যের নিলামের দরপত্র (ফরম) বিক্রি চলছে চট্টগ্রাম কাস্টমসে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তত্ত্বাবধানে বুধবার (৯ জুন) এই নিলাম হবে কাস্টমসের অকশন শাখায়।
সোমবার কাস্টমস নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আল আমিন জানান, এবার ৭৬টি লটের নিলামের আয়োজন করেছে কাস্টমস হাউস। রোববার সকাল থেকে দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে, বুধবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলবে দরপত্র বিক্রি। এরপর বিকেল তিনটায় হবে ঢাকা, চট্টগ্রামে এক যোগে নিলাম।
তিনি জানান, যেখানে যে অবস্থায় আছে সে ভিত্তিতে এবং শর্তযুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে শর্ত প্রতিপালন (রিট মামলা নিষ্পত্তিসহ) সাপেক্ষে নিলামে এসব পণ্য বিক্রি হবে। প্রত্যেকটি পণ্যের রয়েছে আলাদা আলাদা লট।
সরকারী নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেএম কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, অফিস চলাকালীন চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটের কেএম কর্পোরেশন অফিস থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখায় ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) দফতর থেকে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে দরপত্র জমাও দেওয়া যাবে।
কেএম কর্পোরেশনের ম্যানেজার মুরশেদ আলম বলেন, নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সঙ্গে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হয়। এছাড়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিন সার্টিফিকেটের কপি অবশ্যই দাখিল করতে হয়। এছাড়া ক্যাটালগে বর্ণিত নিলাম সংক্রান্ত সকল শর্তাদি যথাযথভাবে পালন করেই যে কেউ নিলামে অংশ নিতে পারবে।
কাস্টমস নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আল আমিন বলেন, সব দরপত্র যাচাই-বাছাই করে যে বা যিনি সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছেন তাকে পণ্য বুঝে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।