মমতাজ বেগম (৬৩)। স্বামী মারা যাওয়ার পর নদীও নিয়ে যায় তার বাড়ি ও ভিটে। ৩ সন্তান নিয়ে ঠাঁই হয় অন্যের জমিতে। বছরের পর বছর গড়ায়। দিনমজুর ছেলেরাও সংসার পেতে আলাদা হয়ে যায়। এখন ছোট ছেলের আয়ে তার সংসার ঠিকমত চলে না। এমন সময় খবর পেলেন মুজিবের বেটি ঘর দিবে। আবেদন করলেন। ঘরও পেলেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পাকাঘর পেয়ে খুশি। শুধু মমতাজ বেগমই নন তার মতো কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ৩শ’ ৬টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার পাচ্ছেন। মাথা গোঁজার স্থায়ী আবাসন পেয়ে দারুণ খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্র সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।
মুরাদনগরে গৃহহীন পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘর উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র ভূমি ও গৃহহীন ওইসব পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ নির্মাণাধীন ঘরগুলো পরিদর্শনে গেলে আনন্দের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ঘর পাওয়া পরিবারগুলো।
পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন বাসসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে এসব ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ঘরগুলো ব্যবহারের উপযোগী হলেই, ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদেরকে দুই শতাংশ জমির রেজিস্ট্রি দলিলসহ এ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ জানান, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার, এ স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারি খাস জমির ওপর ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আধুনিক আবাস। অসহায় মানুষের মাঝে শুধু ঘর নয়, থাকছে রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা।