স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপি আজ শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে।
শেরপুর সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে জেলায় আজ বর্ণ্যাঢ্য র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সাথে আয়োজন করা হয়েছে উন্নয়ন মেলার ।
শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিকের নেতৃত্বে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালি বের হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলামসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।পরে ডিসি উদ্যানে স্থাপিত বিজয়মঞ্চে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, জেলায় আজ শুরু হয়েছে দু’দিনের উন্নয়ন মেলা। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার প্রমুখ। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন আয়োজিত মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৩৬টি স্টল অংশগ্রহণ করছে।
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, জেলায় র্যালী, আলোচনাসভা, উন্নয়নমূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান উদযাপন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এ উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।সেখানে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির।
পরে অতিথিরা মেলার ৪০টি স্টল ঘুরে দেখেন। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে লাঠি খেলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাদু প্রদর্শনী, আতশবাজী প্রদর্শন, সেমিনার, কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং জারীগান।
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট ভবন সংলগ্ন নিমতলায় আজ থেকে শুরু হওয়া মেলায় শতাধিক স্টল অংশ নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ।
উন্নয়ন মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরা হলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মেলায় আসা দর্শনার্থীদেরকে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের স্টলে করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশন ও টিকা প্রদান করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে রক্ত পরীক্ষা ও বিনামূল্যে জন্মনিরোধের উপকরণ বিতরণ, বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন ও ভূমি অফিসের নামজারীর আবেদনের সুযোগ গ্রহণ করতেও দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। মেলায় অনেক স্টলে হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও বিক্রয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে টাঙ্গাইলে দু’দিনব্যাপী উত্তরণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার দুপুরে শহরের কালেক্টরেট স্কুল মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন।‘রূপকল্প ২০৪১: উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল ওয়াদুদ।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের উপর প্রমান্যচিত্র, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, আলোচনাসভা, স্টলের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বাগেরহাট সংবাদদাতা জানান, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে জেলায় শনিবার থেকে দুইদিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চত্বরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এ মেলা উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক।
এসময় জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দোকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চত্বর থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ‘বাংলাদেশের এক অনন্য অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ’ শীর্ষক শ্লোগানকে সামনে রেখে জেলায় শনিবার থেকে দু’দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৬০ টি স্টল স্থান পেয়েছে। এরআগে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র্যালী বের করা হয়।
পরে, শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে আয়োজিত আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি কেসি কলেজে অধ্যক্ষ ড. বিএম রেজাউল করিম ও জেলা পরিষদের সচিব রেজাই রাফিন সরকার।
বাসস-এর ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, জেলায় শনিবার দু’দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মো. আব্দুল মজিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
এর আগে উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বড়মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়াও, শনিবার পাবনা, কুমিল্লা, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় দু’দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে।