মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোর সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ব্রাভোর ১০২ রানের সুবাদে লংকানদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ফলে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিলো কাইরন পোলার্ডের দল। এই প্রথমবারের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলংকাকে ওয়ানডে ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এতে বিশ্বকাপ সুপার লিগে দু’টি সিরিজ খেলে ৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩০ পয়েন্ট এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নিজেদের প্রথম সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিলো ক্যারিবীয়রা।
অ্যান্টিগায় টস জিতে প্রথমে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংএ পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে দলকে ৬৮ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা ও অধিনায়ক দিমুথ করুনারতেœ। ৭ বলের ব্যবধানে বিদায় ঘটে তাদের। গুনাথিলাকা ৩৬ ও করুনারতেœ ৩১ রান করেন।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল হোসেনের ঘুর্ণিতে মিডল-অর্ডারে শ্রীলংকার তিন ব্যাটসম্যান দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরেন। পাথুম নিশাঙ্কা ২৪, দিনেশ চান্ডিমাল ১৬ ও দাসুন শানাকা ২২ রান করেন। থিসারা পেরেরাও ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তাই ১৫১ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। এতে ২শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে লংকানরা।
তবে সপ্তম উইকেটে দারুন এক জুটি গড়েন আসেন বানদারা ও হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। ১১১ বলে অবিচ্ছিন্ন ১২৩ রান শ্রীলংকাকে এনে দেন তারা। ৭৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন বানদারা। তবে মারমুখী মেজাজে ছিলেন ডি সিলভা। ৬০ বল খেলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় অনবদ্য ৮০ রান করেন তিনি। বানাদারা ও ডি সিলভার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৪ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন।
২৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এভিন লুইস ১৩ ও জেসন মোহাম্মদ ৮ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে ১৩২ বলে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে আরেক ওপেনার ইনফর্ম শাই হোপ ও ব্রাভো। ৭২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৪ রানে থামেন হোপ। পাঁচ নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান ১৫ রানে থামলেও, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান ব্রাভো। ২০১৬ সালের জুনের পর তিন অংকে পা দিলেন তিনি।
সেঞ্চুরির পরপরই আউট হন ব্রাভো। ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩২ বলে ১০২ রান করেন ব্রাভো। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক পোলার্ডের সাথে ৭১ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন ব্রাভো।
শেষদিকে, জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ১৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রান যোগ করে ৯ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন পোলার্ড। ৪২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন পোলার্ড। ১০ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন হোল্ডার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ব্রাভো। সিরিজ সেরা হন হোপ।
ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী ২১ মার্চ থেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলংকা।