×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-০৫
  • ৬৬৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ৩০৩তম দিনে ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে বেড়েছে সুস্থতার হার।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ৪ জন কম মৃত্যুবরণ করেছে। গতকাল ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৬৭০ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত ২ জানুয়ারি থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৯১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১২ হাজার ৯৬ জনের নমুুনা পরীক্ষায় ৯১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৬৭ শতাংশ কম।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৬টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৯টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯৪৪ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৫৯ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২৯ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০১ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬২৯ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৭০১ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৯২৮টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ১১৫ ও বেসরকারি ৬৫টিসহ ১৮০টি
পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৯৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ২ হাজার ৩৬৬টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ৩০৪১ দশমিক ১১ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৭১৫ দশমিক ৪৫ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৫ দশমিক ০৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, আর নারী ৪ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৮৩১ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৮৩৯ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ০৩ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ১৯ জন হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের বছরের ২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৮ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৬ জন; যা দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৭ জন; যা দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৬০ জন; যা ২ দশমিক ০৯ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৮২ জন; যা ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৯৭ জন; যা ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৯৪৮ জন; যা ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৪ হাজার ১৯০ জন; যা ৫৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে এবং খুলনা ও সিলেট বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ২২৩ জন; যা ৫৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪১৮ জন; যা ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪৪১ জন; যা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫৩৭ জন; যা ৭ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩৮ জন; যা ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৯৪ জন; যা ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩৪৬ জন; যা ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭৩ জন; যা ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৬৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪২৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৮৪০টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১০টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৮২ জন ও শয্যা খালি আছে ১২৮টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা
সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ২২৩ জন ও শয্যা খালি আছে ৪৬৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২২ জন ও শয্যা খালি আছে ২৩টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৪৭৬ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ১৩টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৪৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৬৫ জন ও শয্যা খালি আছে ১৮২টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৪৪৫টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ১২৮ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ৩১৭টি।
সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৬০২টি, রোগী ভর্তি আছে ২৬৯ জন এবং খালি আছে ৩৩৩টি। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৭২টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৭১৯টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬২১টি, আইসিইউ বেড ৬৮৮ ও ভেন্টিলেটর ৬২০।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ৯৪৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬৯৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৯ জন, রংপুর বিভাগে ৪৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৪-জন, বরিশাল বিভাগে ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩০ জন, সিলেট বিভাগে ২২ জন এবং ময়মনসিংহে ৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৬১৯ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৭৮ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬ হাজার ৬২১ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৮ হাজার ৬১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১১৭ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৫০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৮৮১ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৫৬৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৩১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৬৬৯ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৪ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৪ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭৯০টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৫ হাজার ১৬৮টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১০৮টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৬৬টি।-এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৮টি। কোভিড বিষয়ে ২৪ ঘন্টায় পরামর্শ নিয়েছেন ২ হাজার ৩৬৮ জন। এ পর্যন্ত পরামর্শ নিয়েছেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪১ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪ জানুয়ারি রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার ৩৮৬ জন এবং ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat