×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-২৩
  • ৬৮৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪১৬ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ১৩ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৩৫৯ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ২১ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪১৬ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১৮১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ২৩৫ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৫ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ০১ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৬৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৫ হাজার ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৩১৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ১২ শতাংশ কম।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৫২২টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৪টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৯৬ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৫২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৪৪৪টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৯৮ ও বেসরকারি ৬৫টিসহ ১৬৩টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৩২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৫ হাজার ১৪৫ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৭৮৭টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৯৬৪ দশমিক ৪৭ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৬০৯ দশমিক ০৯ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন, আর নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৬০৭ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭৫২ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ৩০ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৮ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৬ জন; যা দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১৬ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৭১ জন; যা ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৬৬ জন; যা ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৮৭৫ জন; যা ২৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৯৯৮ জন; যা ৫৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ১ জন করে এবং রংপুর বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ২১ জন; যা ৫৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৩৭২ জন; যা ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪৩১ জন; যা ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫১৯ জন; যা ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩৬ জন; যা ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৯০ জন; যা ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩৩১ জন; যা ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৭ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৬০৭টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৮৬টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২১৩ জন ও শয্যা খালি আছে ৭৩টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ৩০৪ জন ও শয্যা খালি আছে ৩৮৩টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৯ জন ও শয্যা খালি আছে ২৬টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৩৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৩৫ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ৪টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৪৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৩ জন ও শয্যা খালি আছে ১৬৪টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৫১০টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৬১৬ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৮৯৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৭৮টি, রোগী ভর্তি আছে ৩১৫ জন এবং খালি আছে ২৬৩টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫০৫টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৭৮টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬৩৮টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৪১৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৭২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৪৬ জন, রংপুর বিভাগে ৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, বরিশাল বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৩ জন, সিলেট বিভাগে ৪৪ জন এবং ময়মনসিংহে ৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৭৭৪ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৯০ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫০ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ৫৪৯ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১১৮ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ১৯৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩৬৮ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৪৫৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৯১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৮৫৮ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৯৫ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৭টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৭৮০টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৭টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮৪টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৮৩টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫৩০ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৭৬ হাজার ২৮৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৪৩১ জন এবং ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat