এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এতে অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশে ৯৯ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সচেতন। অংশগ্রহণকারীদের ৪১ শতাংশ এই ভাইরাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সামাজিক মিডিয়াতে পোস্ট এবং ভিডিও থেকে। ২৮ শতাংশ সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলো থেকে। অন্যদিকে বিশ্ব স¦াস্থ্য সংস্থার রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলো থেকে ২১ শতাংশ মানুষ (কোভিড-১৯) সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করছেনে।
ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির এক যৌথ সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), রংপুর-এর ঢাকাস্থ শ্যামলী লিঁয়াজো অফিসে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন সমীক্ষাটির চিফ ইনভেস্টিগেটর এবং বেরোবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
সামগ্রিকভাবে এ গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হল, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর জ্ঞান এবং উপলব্ধি পর্যবেক্ষণ করা। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (সোসাল মিডিয়া) ব্যবহার কওে এই ক্রস সেকশনাল সমীক্ষা পরিচালনা করে যা ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এবং স্কুল অব সায়েন্স, ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া। পরিসংখানের যথার্থতা বিষয়কে মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে এ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা মোট ৩৮৫ জনে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি ছিলেন পুরুষ। ৫৯ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে।
উত্তরদাতাদের ৫৩ শতাংশের বেশি মনে করেন, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে।