দ্বিতীয় দিনের মতো আজও করোনাভাইরাসে দেশে নতুন কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। এ সময়ে কেউ মারা যাবার খবরও জানা যায়নি।
দেশে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৫ জন।
রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য জানান। এ সময় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইনে সংযুক্ত হন এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে ব্রিফিং করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. মো.হাবিবুর রহমান ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশ থেকে ১০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করিয়েছি। সর্বমোট ১ হাজার ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা আছে এমন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৮ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন কোন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। এই ৪৮ জনের মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন এবং দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমন না থাকায় সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন ১৫ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮ জন।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, চীনে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রায় ২ মাস আগে অর্থ্যাৎ জানুয়ারি মাস থেকে আমরা করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে থাকি। ফলে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভাল আছে।
তিনি জানান, আগে শুধু আইইডিসিআর এ করোনা টেস্টের ব্যবস্থা ছিল, তবে এখন দেশের ১১টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাস টেস্ট করা যাবে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে একটি করে করোনা কর্নার করতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এখন ৫শ’ ভেন্টিলেটর রয়েছে। আরও সাড়ে ৩শ’ শিগগিরই হাতে আসবে।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ইতোমধ্যে ৩ লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই ২০/৩০ হাজার পিপিই আমরা পাচ্ছি এবং এপ্রিলের মধ্যে আরও ৫ লাখ পিপিই আসবে। সুতরাং পিপিই নিয়ে শঙ্কার কোন কারণ নেই।’
তিনি বলেন, হাসপাতাল ছাড়া অন্যান্য সংস্থাকে পিপিই সরবরাহ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে দ্রুত পিপিই’র ব্যবস্থা করে তা বিতরণের জন্য তিনি তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, করোনা চিকিৎসায় সারা দেশে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। শুধু ঢাকা বিভাগেই ৩ হাজার বেড প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে করোনা টেস্টের জন্য ৪৫ হাজার কীট রয়েছে। আরও ৮৫ হাজার কীট শিগগিরই হাতে আসবে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্ধারিত ছুটির পর দেশের এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে সারাদেশের ৭১০ জন চিকিৎসককে করোনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।